রাঙামাটি প্রতিনিধি: পর্যটন শহর রাঙামাটির প্রতীক হয়ে ওঠা ঝুলন্ত সেতু ডুবে গেছে পানির নিচে। এক ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়া সেতু উপর দিয়ে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন রাঙামাটি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন ১৯৮৬ সালে রাঙামাটি শহরের শেষ প্রান্তে কাপ্তাই হ্রদের দুই পাহাড়ের সংযোগস্থলে ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত এই ঝুলন্ত সেতুর কারণেই রাঙামাটিতে প্রতিদিনই হাজারো পর্যটক আসা-যাওয়া করে। আর এতে করে স্থানীয়রা পর্যটকদের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
স্থানীয় নৌযান ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ‘সেতু ডুবে যাওয়ায় পর্যটক আসছে না। তাই আমাদের বোটগুলো ভাড়া হচ্ছে না। পর্যটক না আসায় স্থানীয় দোকানগুলোতে বেচাকেনাও হচ্ছে না। পানি না কমলে আমাদের আয় হবে না এবং এতে আমাদের সংসার চালানো অনেক কষ্টকর হবে।’
আগস্ট মাসের শুরু থেকে টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়েই চলেছে। আর এতে করে ৩ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে ঝুলন্ত ব্রিজ এক ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।
ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে পানি না কমা পর্যন্ত সেতুতে চলাচলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রতিদিন গড়ে অন্তত ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি হচ্ছে রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের। সংস্থাটির তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের অধিক পর্যটক ঝুলন্ত সেতু দেখতে আসেন। এতে আয় বাড়ে পর্যটন করপোরেশনের। এখন সেতু পানির নিচে থাকায় সে আয় থেকে বঞ্চিত হবে কর্পোরেশন।
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, পানির কারণে আমরা আপাতত পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। পানি কমলে আবারও সেতু এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে পর্যটকদের। সেতু ভেসে না উঠলে পর্যটনে লোকসান হওয়ার পাশাপাশি পর্যটক কমবে এ জেলায়। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available