নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে ২ দিনের ব্যবধানে গণপিটুনিতে ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে মোশারফ হোসেন (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর রাতের দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাতের দিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ভূপতিপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়িতে চোর আখ্যা দিয়ে নাসির উদ্দিন মাসুদ (৩৭) নামে আরেক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত মোশারফ হোসেন (৪৫) জেলার সদর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালী-ফেনীসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইদ্রিস জানান, বুধবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মালেশিয়া প্রবাসী সাইফুদ্দিনের ঘরে সিঁধ কেটে একদল ডাকাত ঢুকে। ওই সময় প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা তাদের ঘরে ছিল না। তারা আগের দিন প্রবাসীর বোনের বাড়িতে সেনবাগ বেড়াতে যায়। বিষয়টি টের পায় একই বাড়ির জুনায়েদ (৩৪)। পরে জুনায়েদ বিষয়টি প্রবাসী সাইফুদ্দিনের বড় ভাই বাহার উদ্দিন মিজানকে (৫৫) মুঠোফোনে অবহিত করে। খবর পেয়ে মিজান তার ভাইয়ের ঘরে ছুটে যান। সেখানে অস্ত্রধারী ডাকাত দল মিজানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মিজানের চিৎকারে জুনায়েদ এগিয়ে এলে ডাকাত দল তাকেও ছুরিকাঘাতে আহত করে। ওই সময় অন্য ডাকাতরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এসে এক ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দেন। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গণপিটুনির শিকার ডাকাত ঘটনাস্থলেই মারা যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এটি ডাকাতির ঘটনা নয়, এটি চুরির ঘটনা। চুরি করতে গিয়ে এক চোর গণপিটুনিতে মারা যায়। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে নোয়াখালী-ফেনীসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available