নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিলে মুঠোফোনে কথা বলার সময় বিষাক্ত সাপের কামড় দিলে যথা সময়ে প্রতিষেধক না পেয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সাপের বিষের প্রতিষেধক থাকা না থাকা নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি ঘটন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত নূপুর কর্মকার (৩৩) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর এলাকার কর্মকার বাড়ির কুন্তল কর্মকারের ছেলে। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।
৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজের বাড়ির উঠানে মুঠোফোনে এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিল নূপুর। ওই সময় তার পায়ে একটি বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়। পরে বিষয়টি তার বড় ভাই আঁচ করতে পেরে তাকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম না থাকায় জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখানেও সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ অ্যান্টিভেনম না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, রোগীর অবস্থা দেখে দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে রেফার্ড করা হয়। নোয়াখালী জেলাতে বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।
অপরদিকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হেলাল উদ্দিন জানান, সাপ কামড়ানোও ঔষধ এভেল এভেল আছে। কিন্তু কী কারণে কে বা কারা ঔষধ নেই বলছে, তা আমার জানা নেই। তবে যে লোকটি সাপের কামড়ে মারা গেছে তার পক্ষে যে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে, তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available