বাবুল আকতার, খুলনা: খুলনায় কিস্তিতে মোটরসাইকেল বিক্রির নামে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। করা হচ্ছে পুলিশের নামেও চাঁদাবাজি। আর এর ফলে নিঃশ্ব হচ্ছে শহরতলী বা গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। খুলনা মহানগরীতে মোটর সাইকেলের কিস্তির ব্যবসার নামে এ কারবার চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সিন্ডিকেটের সাথে অনেক সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত আছে বলে জানা গেছে।
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন ১৪১ নম্বর এমএ বারী রোডের একটি মোটরসাইকেলের শো-রুমের সাম্প্রতিক হিসাব থেকে বেরিয়ে এসেছে এমন বাস্তব চিত্র। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের পঞ্চকরণ এলাকার জনৈক আব্দুল মান্নান নামের গ্রাহকের কাছে ওই শো-রুমের দেয়া হিসাবে দেখা যায়, সব কিস্তি পরিশোধের পরও বাড়তি ২৩ হাজার টাকা দাবি করা হয় তার কাছে।
তথ্যানুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়তি টাকার হিসাবে লেখা রয়েছে ‘নোটিশ বাবদ এক হাজার টাকা, যাতায়াত বাবদ ছয় হাজার টাকা আর এসআই বাবদ পাঁচ হাজার টাকা’।
রাশু নামের ওই শোরুমের ম্যানেজার এ প্রতিবেদককে বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহক কিস্তি ফেল করায় তার বিরুদ্ধে থানা-পুলিশ করতে হয়েছে বলে বাড়তি টাকা দাবি করা হচ্ছে। একদিকে বলা হচ্ছে যাতায়াত বাবদ ছয় হাজার টাকা আবার বলা হচ্ছে পুলিশ বাবদ পাঁচ হাজার টাকা। এছাড়া অতিরিক্ত মাসের জন্য দাবি করা হচ্ছে ১৩ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাত্র এক লাখ টাকার একটি মোটর সাইকেলে এভাবেই খাতে খাতে দাবি করা হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ।
শুধু রাশু শোরুম নয়, এরকম আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রয়েছে এসব অভিযোগ। এই কাজে অনেক সরকারি দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত আছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
যদিও খুলনা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক(ইঞ্জি:) তানভীর আহমেদ বলেন, কিস্তিতে মোটরসাইকেল বিক্রির কোন বৈধতা নেই। তারপরেও কোন কোন প্রতিষ্ঠান এটি করছে। কেউ কেউ আবার পুরাতন মোটরসাইকেল কেনাবেচার সাথেও জড়িত। যারও কোন বৈধতা নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এরপরেও কিভাবে এ ধরনের কথিত শোরুমে এমন ব্যবসা করা হচ্ছে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি বিআরটিএ’র ওই কর্মকর্তা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available