রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি: ঝালকাঠির রাজাপুরের উত্তর পুটিয়াখালি এলাকায় মারধর করে চালের পোকা মারার ট্যাবলেট (কীটনাশক) খাইয়ে স্ত্রী বিথীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আল আমিনের বিরুদ্ধে। ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় আল আমিন।
বিথী উপজেলার আঙ্গারিয়া সাতানিব্রিজ এলাকার ছত্তার মোল্লার মেয়ে এবং আল আমিন উপজেলার উত্তর পুটিয়াখালি এলাকার মৃত রসূল খানের ছেলে। বিথীর ৪ বছর বয়সী সেজান নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বুধবার রাত ৮ টার দিকে নিহত বিথীর ভাই কাওসার মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, মোটরসাইকেল কেনার জন্য কয়েক মাস ধরে আল আমিন ১ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো বোন বিথীর কাছে। বিষয়টি বিথী আমার বাবাকে জানালে আমি আল আমিনকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু ওই ২০ হাজার টাকা খরচ করে ফেলে পুনরায় আরও টাকা চেয়ে আমার বোন বিথীর উপড় মানসিক ও শাররিক নির্যাতন চালাতো আল আমিন। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকতো। বুধবার দুপুরে আমার বোনকে মারধর করে জোরপূর্বক তাকে চালের পোকা মারার ট্যাবলেট (কীটনাশক) খাইয়ে দিয়ে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নিয়ে আসে আল আমিন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় আমার বোন বিথীর। আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে আল আমিন। বিথীর মুখে, গালেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন নিহতের ভাই কাওসার।
রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক আল হেলাল জানান, পারিবারিক কলহেরে জেরে বিথীকে মারধর করে চালের পোকা মারার ট্যাবলেট (কীটনাশক) খাইয়ে দেয় আল আমিন। এতে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে স্ত্রী বিথীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে আল আমিন। চিকিৎসার কিছু সময় পর চিকিৎসক বিথীকে মৃত ঘোষণা করে। তার মুখে ও গালে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মারা যাওয়ার পর থেকে মরদেহ হাসপাতলে রেখে স্বামী আল আমিন আত্মগোপনে চলে যায়।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available