রাঙামাটি প্রতিনিধি: মধ্যরাতে পাহাড়ের পৃথক দুই স্থানে ব্রাশফায়ার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। রাঙামাটির লংগদুস্থ করল্যাছড়ি ও মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের মাইনী সেতুর উপর পৃথকভাবে ব্রাশ ফায়ারের ঘটনা ঘটিয়েছে উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসীরা।
১৬ সেপ্টেম্বর রাত দিবাগত সাড়ে ১১টার সময় মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের মাইনী সেতুর উপর আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ ও সংস্কারপন্থী জেএসএসের মধ্যে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এতে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দলগুলোর সূত্রে জানা গেছে।
তবে গুলিতে আহত সুজন চাকমাকে উদ্ধার করে দিঘীনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার পর তার সহকর্মীরা তাকে নিয়ে যায়। সুজন চাকমা তার ডান পায়ে গুলি লেগে আহত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এছাড়াও এই ঘটনায় ইউপিডিএফ-এর এক সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে আটক করে সংস্কারপন্থীরা নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গেছে বলে সংগঠনটির সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে মধ্যরাতে লংগদু উপজেলা সদরের পাশেই করল্যাছড়ি সাবজোন আর্মি ক্যাম্পে অতর্কিতভাবে ব্রাশফায়ার করেছে উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে পাহাড়ি সন্ত্রারীরা করল্যাছড়ি আর্মি ক্যাম্পকে লক্ষ্য করে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় কর্তব্যরত নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অতর্কিত সশস্ত্র হামলায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থল ও আশেপাশে সেনাটহল টিমের ডিউটি জোড়দার করেছে। থমথমে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মধ্যরাতে পাহাড়ের দুটি পৃথক স্থানে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে সর্বত্র। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পে গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্ঠা করছে আঞ্চলিক দলগুলো। যেখানে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের উপর গুলি বর্ষণ করা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদে থাকবে এমন মন্তব্য করে সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকেই স্ট্যাটাসও দিচ্ছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available