পাবনা প্রতিনিধি: স্বল্প সময়ের বর্ষায় এবার পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে তেমন পানি আসেনি। এরই মধ্যে অসাধু ও মৌসুমী মৎস্য শিকারীরা গত এক মাস ধরে এ অঞ্চলে নানা উপায়ে বোয়াল মাছের পোনা নিধনে মেতে উঠেছেন। বোয়ালের পোনা প্রকাশ্যে হাট-বাজারে বিক্রি করা হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
বিলে বোয়াল মাছের পোনা নিধনের পাশাপাশি এবার শুরু হয়েছে অবৈধ সোঁতিবাঁধের দাপট। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা কিংবা মৌসুমী মৎস্য শিকারাীরা শুরু করেছে এই অপতৎপরতা। চাটমোহরের বিভিন্ন নদী ও বিলের মুখে স্থাপন করা হয়েছে অবৈধ সোঁতিবাঁধ।
উপজেলার হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা, পার্শ্বডাঙ্গা, ডিবিগ্রাম ও বিলচলন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি অবৈধ সোঁতিবাঁধ দিয়ে মাছ নিধন চলছে। উপজেলার হান্ডিয়ালের কাটা গাঙ, ডেফলচড়া, হান্ডিয়াল ময়দানদীঘি কৃষি কলেজ এলাকা, ছাইকোলা, ডিকশি বিল, চিকনাই নদীসহ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে এসব সোঁতিবাঁধ দেখা গেছে।
হান্ডিয়াল এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালীরা সোঁতিবাঁধ স্থাপন করে মৎস্য নিধন করছেন। নিমাইচড়া ইউনিয়নের গুমানী নদীতে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতা সোঁতিবাঁধে মাছ নিধনে মেতে উঠেছেন। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার মাছ ধরা হচ্ছে এসকল সোঁতিবাঁধে।
সোঁতিবাঁধ স্থাপনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েকটি জায়গায় ম্যানেজ করেই সোঁতিবাঁধ স্থাপন করে মাছ ধরছেন তারা। সেকারণেই স্থানীয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা প্রশাসন সোঁতিবাঁধ উচ্ছেদে কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
এলাকাবাসী দ্রুত সোঁতিবাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আ. মতিন জানান, বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানান। তিনি বললে, আমি ব্যবস্থা নেবো। তবে অবৈধ সোঁতিবাঁধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available