লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে মিতু আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আতিকুল ইসলামকে (২৫) অভিযুক্ত করে লালমনিরহাট সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত গৃহবধূর বাবা মোহাম্মদ ইসলাম। ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। শুক্রবার ময়নাতদনেরতর পর মরদেহের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। নিহত মিতু আক্তারের বাবার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা খেতাবখা এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামী আতিকুল ইসলাম গোকুন্ডা ইউনিয়নের দাড়ারপাড় মুন্সিটারী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমান ওরফে হবিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে মিতু আক্তারের সাথে আতিকুল ইসলামের ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সাংসারিক জীবন ভালই চলছিল। তাদের ঘরে আতিকা নামে ৫ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১৫-২০ দিন আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়, এরপর স্বামী আতিকুল ইসলাম তার সাথে আর সংসার করবে না বলে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মিমাংসা করে দিলে তারা আবারও আগের মতোই সংসার করতে থাকে। ২০ সেপ্টেম্বর রাতে আবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চেচামেচি ও মারামারির শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে শিশু আতিকার দীর্ঘক্ষণ কান্না শুনতে পেয়ে স্থানীয় লাভলু নামে এক ব্যাক্তি স্থানীয়দের নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে দেখতে পায় শিশুটিকে মেঝেতে বসে কান্না করছে আর তার মায়ের মরদেহ বিছানায় পরে আছে। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ সময় শিশু আতিকাকে তার নানার হেফাজতে দেয়া হয়। ঐদিন রাতেই আতিকুলকে আসামি করে নিহত গৃহবধূ মিতুর বাবা লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লালমনিরহাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, অভিযোগের পর রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামি বর্তামানে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available