ভৈরব প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকারের খাল খনন প্রকল্পের আওতায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গোছামারা খাল খনন কাজে দুষ্কৃতকারীদের বাধা দেয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। খনন কাজে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গোছামারা স্টীল ব্রিজের ওপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বাবুল মিয়া, শিমুলকান্দি ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী খুরশিদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার হেলাল মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: শাহ আলম, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলামিন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গোছামারা সরকারি খাল খননের কাজটি পায় মুমিনুল হক সেলিম। ঐ খাল খননের কাজটি ১ সপ্তাহ আগে শুরু করার পর থেকে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়ের আলম দানিছ নিজে কাজের টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে কাজটি না পাওয়ায় বিএনপির ও কৃষকদের উস্কানি দিয়ে খনন কাজে বাধাগ্রস্থ করছেন। খালটি খনন করা হলে কৃষকের জমিতে সহজে সেচ দেয়া যাবে। সরকারি খালের খনন কাজ যেন কোনও বাধা ছাড়াই চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে মেসার্স মুমিনুল হক এন্ড হাসান কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গোছামারা খাল খননের কাজটি পায়। ১ সপ্তাহ আগে এ খালের খনন কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানটি। এক্সকাভেটরের পরিবর্তে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করায় ফুঁসে উঠে স্থানীয় কৃষক ও বিভিন্ন গ্রামের লোকজন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও গ্রামবাসীর একাংশ ড্রেজারে মাটি কাটার পক্ষে থাকলেও অপরপক্ষ এক্সকাভেটরে মাটি কাটার পক্ষে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিমুলকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জোবায়ের আলম দানিছ বলেন, আমি খাল কাটার পক্ষে আছি। সিডিউলে ড্রেজারে মাটি কাটার কোন নির্দেশ নেই। ড্রেজারে বালু উত্তোলন করলে কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য স্থানীয় কৃষক ও গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রকৌশলী কাজ বন্ধের জন্য নোটিশ করছেন। নোটিশের পরও ড্রেজারে বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। আমিও স্থানীয়দের সাথে একমত, সিডিউল অনুযায়ী শুকনো মৌসুমে ভেকু দিয়ে এবং লেবার দিয়ে যেন খাল খনন করা হয়। ঠিকাদার মমিনুল হক সেলিম ৩ টাকা বর্গফুটে স্থানীয় সিন্ডিকেটের কাছে বালু বিক্রি করছে এবং সিন্ডিকেটের লোকজন ৮ টাকা বর্গফুটে সে বালু অন্যত্র বিক্রি করছে। স্থানীয়দের দাবি ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার বিপক্ষে। তারা ভেকু দিয়ে মাটি কাটার পক্ষে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড্রেজারে মাটি কাটার পক্ষে থাকায় নোটিশের পরও বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available