রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বিএনপির আমলে রিজার্ভ ছিলো ৪ বিলিয়ন। বিএনপি রিজার্ভও খেয়ে ফেলেছিলো। তারা অর্থনীতি গিলে ফেলেছিলো। এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শ গিলে ফেলেছিলো। এবার যদি বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারে, বিএনপি দেশসহ গিলে খাবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার কার্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার সময় এসব কথা বলেন। তিনি বিএনপি থেকে সাবধান থাকার জন্য দেশবাসীকে সতর্ক করেন।
জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে এদিন উপজেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করে সংগঠনটি। সম্মেলন শুরুর জন্য দুপুর ৩টায় নির্ধারিত সময় থাকলেও এর কয়েক ঘন্টা আগে থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হয়। উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। দুপুর না হতেই সম্মেলনস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে তরুণ-যুবকরাই ছিলেন বেশি। তারা স্লোগানে স্লোগানে পুরো অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখেন। সম্মেলনে কয়েক হাজার নারী নেতাকর্মীও যোগ দেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম রাশেদুল আলম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সামশুদ্দোহা সিকদার আরজু। সঞ্চালক ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুচ।
মন্ত্রী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে। একইভাবে রাঙ্গুনিয়াও বদলে গেছে। আজ থেকে ১৫ বছর আগে যে ছেলেটি বিদেশ থেকে এসেছে সে তার নিজ গ্রাম চিনতে পারবে না। রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি জনপদ বদলে গেছে। ২০১৮ সালের আগে আমার গ্রাম আমার শহর স্লোগান দিয়েছিলাম। এখন সত্যিকারের অর্থে গ্রাম শহরে পরিণত হয়েছে। এখন গ্রামের ছেলের সাথে শহরের ছেলের মধ্যে পার্থক্য করা যাবে না। গ্রামের মধ্যেই এখন শহরের সব সুবিধা পাওয়া যায়।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি কয়দিন হাটা, কয়দিন দৌড়, কয়দিনন বসা, এখন বাকী আছে হামাগুড়ি কর্মসূচি। কর্সসূচি দিয়ে বিএনপি নেতারা অক্টোবরে নাকি ফাইনাল খেলা খেলবে। আমরা ফাইনাল খেলার জন্য অপেক্ষা করছি। ফাইনাল খেলার আগে বিএনপি দেখতে পাবে তাদের দলের ১১ জন নাই। অন্যদলে চলে গেছে।
বিএনপি এখন পুরনো গাড়ির মতো। জনগণের উপর তাদের কোন আস্তা নেই। তাদের জনসভা ছোট হয়ে আসছে। এখন বিদেশিদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। কিন্তু কোন লাভ নেই। বিএনপি ভিসা নীতির আওতায় আসবে। সরকার কিংবা আমাদের দল ভিসা নীতিতে কোন চাপ অনুভব করছে না।
যুবলীগের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাঙ্গুনিয়ায় গর্তের মধ্যে ঢুকে গেছে। সেখান থেকে মাথা উঁচু করে দেখে। তাই যুবলীগকে বলবো তারা যেনো সেই গর্ত থেকে বের হতে না পারে। তাদের করোনার সময় দেখা যায় না, কর্ণফুলীর ভাঙনে দেখা যায় না। এমন কোন দুর্যোগ দুর্বিপাকে নাই।
প্রায় সাত বছর পর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা মাঠ থেকে শুরু করে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারসহ মিছিল নিয়ে, ঢাকঢোল বাজিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন। দুপুরের আগেই পুরো মাঠ পূর্ণ হয়ে আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন দলের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনস্থলে প্রার্থীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী টি-শার্ট ও ক্যাপ পরে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। কেন্দ্র ও জেলা উপজেলার নেতাকর্মীদের নামে ব্যানার-ফেস্টুনে আশপাশের এলাকা ছেয়ে যায়। কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপজেলাজুড়ে তৈরি করা হয় অসংখ্য তোরণ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available