নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া থেকে জামশা বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার (কার্পেটিং) কাজের অনুমোদনপত্র অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু ও ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু করা হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কাজ শুরু করে ঐ মাসেই সংস্কার কাজ শেষ করে।
টেন্ডারের বিবরণ থেকে জানা যায়, দের কোটি টাকা ব্যয়ে এই সড়কটি ২৫ মিলিমিটার পিচ দিয়ে কার্পেটিং করা হবে। সড়কের দুই পাশে কয়েকশ’ মিটারের কার্পেটিং ঠিকই আছে। তবে মাঝখানে প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে পুরোই অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের৷ কোথাও ১৫, আবার কোথাও ১৮-২০ মিলি পিচ দিয়ে কার্পেটিং করা হয়েছে, এমন সত্যতা মিলেছে সরেজিমনে গিয়ে।
এদিকে এলজিইডির আওতায় এই সড়কের কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘শীতল এন্টারপ্রাইজ’ কাজ বুঝিয়ে দিয়েছে প্রায় ৫ মাস আগে। গত জুনের আগে বিলও বুঝিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলজিইডি দপ্তর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজ চলমান অবস্থায় এসব অনিয়ম দুর্নীতি দেখেও উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরের কর্মকর্তারা নীরব ছিল। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের বলা হয়, সব ঠিকভাবেই করা হচ্ছে। এর চেয়ে আর ভালো করে দেওয়া যাবে না। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে মিক্সার মেশিনের সাহায্যে পিচ দিয়ে সংস্কার কাজের কার্পেটিং করে চলে যান শ্রমিকরা।
শিকারীপাড়া গ্রামের সেফালী বেগম এশিয়ান টিভি অনলাইনকে বলেন, সড়কের কাজের মান ভালো হয় নাই। কার্পেটিং করার সময় আমরা এলাকাবাসী বলেছি, এত হালকা করে কী ঢালাই দিলেন, তারা কয় এইই যথেষ্ট।
স্থানীয় গ্রামবাসী মো. আলমাস ও সাদ্দাম বলেন, এটা যে মানের কার্পেটিং করা হয়েছে এটা কোন কার্পেটিংয়ের আওতায় পড়ে না। এই সড়কের সংস্কার কাজে পুরোটাই অনিয়ম-দুর্নীতি করেছে। আমরা চাই তদন্ত করে অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
শিকারীপাড়া-জামশা সড়ক উন্নয়ন কাজের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে কথা হয় উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার হক চৌধুরীর সাথে। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদার কাজ করে চলে যাবে, ইঞ্জিনিয়ারও কাজ করে চলে যাবে আপনি তখন বললেন না কেন, এতদিন পর যদি একথা বলেন তাহলে কী হবে?’ কাজ শেষ হয়ে গেলে এলজিইডি’র দায়ভার কী শেষ, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন ‘দায়ভার শেষ না’।
এ বিষয়ে জানতে এলজিইডি’র ঢাকা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম তালুকদারকে মুঠোফোনে একাধিকবার সংযোগ দিলেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে শুধু এই সড়ক নয়, বাগমারা ব্রিজের ঢাল বলমন্তচর থেকে মেম্বার বাড়ির মোড় পর্যন্ত এলজিইডি’র সড়কে সংস্কার (কার্পেটিং) করার পরপরই পিচ উঠে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করেও সমাধান পায়নি গ্রামবাসী।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available