শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরে গত রমজানের ঈদে বন্ধুদের সাথে জামা কাপড় কিনতে গিয়ে বাবু মোল্লা নামের এক যুবক নিখোঁজের ৫ মাস পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বিলাশ খান গ্রামের সুমন চৌকিদারের বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে তার মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করে পালং মডেল থানা পুলিশ।
নিহত বাবু মোল্ল্যা (২১) শরীয়তপুর পালং ইউনিয়নের নরবালাখানা এলাকার নুর ইসলাম মোল্লার ছেলে। বাবু শরীয়তপুর শহরের সিদ্দিক কসাইর মাংসের দোকানে শ্রমিকের কাজ করত।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের জামা কেনার উদ্দেশ্যে বাবু মোল্লা তার বন্ধু জুবায়ের, রায়হান, মুন্না ও ইমনের ডাকে গত ২৫ রমজানের (১৭ এপ্রিল) ইফতার শেষে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর অনেক রাত হয়ে গেলেও বাবু বাড়ি ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পালং মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর বিলাশ খান গ্রামের চৌকিদার বাড়ির পূর্ব পাশের পুকুর পাড়ে কয়েক শিশু খেলতে গিয়ে হাড়গোড় দেখতে পায়। এরপর শিশুরা ভয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে হাড়গোর উদ্ধার করে। তবে পুলিশ মরদেহটির মাথা খুঁজে পায়নি। উদ্ধারের সময় হাড়গোরের পাশে একটি জার্সি ও মোবাইল দেখে বাবুর পরিবার তার মরদেহ বলে শনাক্ত করে।
বাবুর বোন নোহা বলেন, আমার ভাই কী দোষ করেছিল যে তাকে মেরে ফেলতে হবে। যারা আমার ভাইকে মেরেছে, তাদের বিচার চাই।
নিহত বাবুর বাবা নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, আমার ছেলেকে মার্কেট করার কথা বলে ডেকে নিয়ে জুবায়ের, রায়হান, মুন্না ও ইমন মেরে ফেলেছে। দীর্ঘদিন আমি পথে প্রান্তরে আমার ছেলেকে খুঁজেছি। যারা আমার ছেলেকে মেরেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাড়গোড়ের পাশে পাওয়া একটি জার্সি দেখে নুরুল ইসলাম নামে একজন দাবি করেছেন মরদেহটি তার ছেলের। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরিচয় জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available