নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় সিএনজি চালিত এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ্ (৫৫) উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পাইক বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
৪ অক্টোবর বুধবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলো, উপজেলার হালিমা দিঘীর পাড় এলাকার ল্যাংটা বাড়ির মৃত মো. নবীর ছেলে মো. রাজু (২২) ও একই এলাকার সুইপার আকবরের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৪)।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত সাখাওয়াত পেশায় একজন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তিনি উপজেলার চাটখিল বাজার থেকে নিজের সিএনজি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। যাত্রা পথে চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কের মোস্তান নগর এলাকার মহুরী মার্কেট এলাকায় পৌঁছে দেখেন কয়েকটা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাস্তায় এলোমেলোভাবে রাখা হয়েছে। এ কারণে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সিএনজি থামিয়ে তিনি এলোমেলোভাবে রাস্তায় গাড়ি রাখার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে অটোরিকশা চালক রাজুর সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাজু ও তার বন্ধু সিএনজি চালক জাহাঙ্গীর, মুন্না এক সঙ্গে সিএনজি চালক সাখাওয়াতকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষিসহ বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক আসামিরা রাস্তার মধ্যে এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নিহত সাখাওয়াত সিএনজি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়ি পার করতে না পেরে, সিএনজি থেকে নেমে জিজ্ঞেস করে, তোমরা এভাবে গাড়ি রাখছো কেন। এ কথা জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে আসামিরা তাকে এলাপাতাড়ি মারধরে করলে তিনি মারা যান।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available