নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলায় জেসমিন আক্তার (২৫) নামের এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৪ অক্টোরব বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বন্দটেকি এলাকা থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জেসমিন আক্তার উপজেলার ৯ নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বন্ধটেকি গ্রামের জানে আলমের বড় সন্তান আশিকুর রহমান লাদেনের স্ত্রী জেসমিন। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেসমিন আক্তারের সাথে আশিকুর রহমান লাদেনের প্রায় দেড় বছর পূর্বে ঢাকার গার্মেন্টসে চাকরিরত অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বন্দটেকি গ্রামের সাবেক মেম্বার গোলাম মোস্তফা সেলিম বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রায় দুই মাস পূর্বে বিয়ের দাবিতে জেসমিন আক্তার আশিকুর রহমান লাদেনের বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে ৯নং চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গেন্দু লাদেনের পিতা জানে আলমসহ এলাকার মাতামুব্বিগণ মিলে আমি উকিল পিতা নিযুক্ত হয়ে লাদেন এবং আশিকের বিবাহ দেই। উকিল পিতা হিসেবে আমার বাড়িতে কয়েকদিন রেখেছি। পরবর্তীতে লাদেন তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, দুই মাস পর আবার জেসমিন ঢাকা থেকে ফোন করে জানায়, লাদেন আমার জমানো ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে চলে গেছে। জেসমিন স্বামী লাদেনের খোঁজে নকলা উপজেলায় বন্ধটেকি গ্রামে স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। জেসমিন আক্তার বাড়িতে এসে স্বামী আশিকুর রহমান লাদেনকে পায় নি।
প্রতিবেশি রাশেদা বলেন, জেসমিন বাড়িতে আসার পর শ্বশুর-শাশুড়ি অন্য বাড়িতে রান্না করে খাওয়া দাওয়া করতো, কিন্তু জেসমিন আক্তারকে কোন রকম খাবার দাবার দিত না।
বুধবার সকাল অনুমান ১০টার দিকে সবার অগোচরে জেসমিন তার শয়ন কক্ষের বাঁশের ধন্যার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে জেসমিনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ঘটনাটির পর থেকে পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ রিয়াদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জেসমিনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্ররোচণায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) পুলিশ পরিদর্শক মো: আবু সাইম জানান, সকাল অনুমান ১১ টার দিকে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বন্দটেকি এলাকা জেসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ পাই। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সারে ১১টার দিকে জেসমিন আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাটির পর থেকে পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছেন। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম অব্যহত রয়েছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available