মাহমুদ খান ও শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সিলেট: সিলেট নগরের আবাসিক হোটেলগুলো থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে পুলিশ। নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত ৫ দিনের অভিযানে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে ১৮ জন তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ‘অনলাইনে দেহব্যবসা: প্রতারণার শিকার অনেকে’ শিরোনামে এশিয়ান টিভি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার দক্ষিণ সুরমার কদমতলি এলাকার কয়েস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তরুণ-তরুণীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলো- মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার মো. সাহাব উদ্দিন সাজু (৩১), সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার মো. নয়ন মিয়া (২৮), একই উপজেলার ঝুমা বেগম (২৭) ও গোপালগঞ্জ জেলার পপি গুপ্ত (৩০)।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ওসমানী হাসপাতাল এলাকার হোটেল বাধন আবাসিক থেকে তরুণ-তরুণীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মো. সোহেল মিয়া (৩৫), জকিগঞ্জ উপজেলার ফারজানা আক্তার (১৯), সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার মো. উজ্জল আহমদ (২০) ও খুলনা জেলার রুপসা থানার ঝর্না বেগম (২০)।
২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তিতাস আবাসিক হোটেল থেকে ১০ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। আটকরা হলেন- ইমরান শেখ (১৮), শামসুল মিয়া (২৬), ময়না আহমদ (২৫), আসাদ শেখ (২৪), মো. কুটি মিয়া (৪২), সজিব দাস (২৬), রুবেল মিয়া (২২), শারমিন (২৫), পারভিন আক্তার লিজা (২৬), শ্যামলি খাতুন (২৬)।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে নগরীর সবগুলো আবাসিক হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যাতে কেউ এ ধরনের কাজে জড়িত না থাকেন। এরপরও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না করায় আমরা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব হোটেলের মালিকদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available