• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১১ই ফাল্গুন ১৪৩১ সকাল ১০:০৮:৪৩ (23-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১১ই ফাল্গুন ১৪৩১ সকাল ১০:০৮:৪৩ (23-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

সুন্নতে খৎনা করাতে এসে মৃত্যুর সাথে লড়ছে শিশু ইউসুফ

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ১২:২৯:৫৮

সুন্নতে খৎনা করাতে এসে মৃত্যুর সাথে লড়ছে শিশু ইউসুফ

কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় শিশুকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত হাসপাতালটি হলো কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার পিয়ারলেস হসপিটাল।

জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে সুন্নতে খৎনা করাতে কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার পিয়ারলেস হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরের সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে ইউসুফ আল হুসেইনকে (২)। কিন্তু, সুন্নাতে খৎনা করানোর আগে দেওয়া অ্যানেস্থেশিয়ার প্রভাবে অচেতন হওয়ার পর আর জ্ঞান ফিরেনি শিশু ইউসুফের।

এর পর থেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সে। পরিবারের দাবি, পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণে এমনটি ঘটেছে। শিশু ইউসুফকে ভুল অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার অভিযোগও করেন শিশু ইউসুফের পরিবার।

এই বিষয়ে শিশু হুসেইনের মামা বলেন, আমার ভাগিনাকে পিয়ারলেস হাসপাতালে ডা. দেবাশিষ এর তত্ত্বাবধানে সুন্নতে খৎনা করাতে কুমিল্লা নগরীর পিয়ারলেস হাসপাতালে নিয়ে আসি। সুন্নতে খৎনা করানোর কিছুক্ষণ পরেই তাকে রুমে দিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। তখনো আমার ভাগিনার জ্ঞান ফিরেনি। হঠাৎ করেই তার শরীর নীল হতে শুরু করলে তাকে দ্রুত মুন হাসপাতালের পিআইসিইউতে ট্রান্সফার করা হয়। অ্যানেস্থেশিয়ার প্রভাবে এমনটা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। পিয়ারলেস হসপিটালের চিকিৎসকদের ভুলের কারণে আমার ভাগিনা আজ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে।  

এদিকে প্রায় ৮ ঘণ্টা পরও শিশু হুসেইনের জ্ঞান না ফেরায় এ ঘটনায় পিয়ারলেস হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফকে দায়ী করে আটক করে রোগীর স্বজনরা। তাকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দেয় না তারা। এ নিয়ে ডা. আরিফের সাথে ব্যাপক হট্টগোল ও হাতাহাতি হয় রোগীর স্বজনদের। এক পর্যায়ে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. রেজা মোহাম্মদ সরওয়ার আকবর ও পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণ আনেন। পরে ডাক্তার আরিফকে জেলা সিভিল সার্জন এর জিম্মায় ছেড়ে দেন রোগীর স্বজনেরা।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. রেজা মোহাম্মদ সরওয়ার আকবর বলেন, আমি শুনতে পেয়ে সাথে সাথে ঘটনা স্থলে এসেছি। আমি নিজে গিয়ে দেখেছি শিশুটির হার্টবিট চলছে। রোগীর স্বজনদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। যে ডাক্তারকে তারা আটকে রেখেছিল তাকে আমার জিম্মায় নিয়েছি। রোগীর কোন খারাপ কিছু হলে সেই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও আমরা হাসপাতাল বন্ধ করারও ব্যবস্থা করেছি।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ