আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে সহকর্মী শিক্ষকের বিরদ্ধে এক নারী শিক্ষিকাকে যৌন হযরানির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলাধীন আমতলী এ.কে. হাই স্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলাম নারী শিক্ষিকা আফরোজ জাহান তানিয়াকে বিভিন্ন সময় কথা বার্তার অশালীনতা, অসৌজন্যমূলক ও ঔদাত্যপূর্ণ আচরণ করে যাচ্ছেন। কারণে-অকারণে সুযোগ পেলেই নোংরা প্রস্তাব দেয়, নোংরা ইঙ্গিত করে। বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে।
সহকারী শিক্ষক মাইনুল ইসলামের কারণে আত্মহত্যা করা ছাড়া তার কোন উপায় নাই বলে শিক্ষিকা আফরোজ তানিয়া অভিযোগে জানান।
বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দেয়া লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, এই শিক্ষকের দাপটে ও তার কথা-বর্তায় দাম্ভিকতায় অন্য নারী শিক্ষিকারাও দিশেহারা। এছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক নারীঘটিত ঘটনার কথা আমতলীতে চাউর আছে। এ ঘটনায় শিক্ষিকা তানিয়া ন্যায় বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. মাইনুল ইসলাম তার বিরদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, কিছু দিন আগে সহকারী শিক্ষিকা তানিয়া ও শিক্ষক মাইনুল ইসলামের মধ্যে স্কুলে বসে ঝগড়াঝাটি হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সফিউল আলম বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয় শিক্ষিকা তানিয়ার অভিযোগের ভিত্তিত্বে দু’জন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আল আমিন বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার তদন্তর জন্য চিঠি পেয়েছি। দ্রুততম সময়ে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিক্ষিকা তানিয়ার অভিযোগের ভিত্তিত্বে দুই সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available