কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২১টি বাসা বাড়ি ও ৮/১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পহেলা মার্চ গভীর রাতে বাজারের মাছ বাজার ও সংলগ্ন কলোনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নজরুল কলোনির একটি বাসার গ্যাস থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। রাত সাড়ে তিনটার পর শুরু হলেও সকাল সাতটার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসেআগুন।
আগুনের লেলিহান শিখা থেকে রক্ষা পায়নি রমিজের মোটর বাইক, জীবন্ত নারীকেল, নিম ও বড়ই গাছও। পুড়ে গেছে বিপুল সংখ্যক ব্রয়লার মুরগি, তরি- তরকারি, কাঁচা ও শুকনো মাছ রাখার নানা যন্ত্রপাতি। যেগুলো পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে মজুদ করা হয়েছিল। উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস না থাকায় এবং বাজারে নিত্য যানজট হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা অনেক বেশি ছিল।
পুড়ে যাওয়া নজরুল কলোনির মালিক নজরুল ইসলাম জানান, তার কলোনিতে একটি অফিস ঘরসহ ১০টি বাসা বাড়ির সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী রশিদ আহমদের মালিকানাধীন কলোনির ১১টি ভাড়া বাসাও পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে তিনি ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা এতে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানান। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রশাসনের তাৎক্ষণিক সহযোগিতা দাবি করেন।
মাছ বাজার ভাই ভাই একথা সমিতির সভাপতি শওকত আলম জানান, গভীর রাতে মোবাইলে লাইভে অগ্নিকাণ্ড দেখে তিনি দ্রুত মাছ বাজারে আসেন। উপস্থিত লোকদের নিয়ে ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। শত চেষ্টা করেও মাছ বাজারের পশ্চিমাংশ তারা রক্ষা করতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডে বৈদ্যুতিক মিটার, ভালব, ব্যারেল, আইপিএস, বাস্কেট, ককসীট, চেয়ার, টুল, তক্তা ও গাছ পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। মুরগি দোকানদার জাহাঙ্গীর আলম জানান, দেশি, সোনালী, লাল ও ব্রয়লার মুরগী মিলে তার দোকানের ছয়শ মুরগি পড়ে গেছে। জীবন্ত অনেক মুরগি লুটপাট হয়েছে।
সকাল ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জ ও বাজার সভাপতি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available