জবি প্রতিনিধি: 'ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভুল' আখ্যায়িত করে কলাম লেখা ও ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।
৪ নভেম্বর সোমবার রাতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সামনে এক ব্যানারের পোস্টার টাঙ্গিয়ে এ শিক্ষককে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বিভাগটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
পোস্টারে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে বুদ্ধিবৃত্তিক ভুল আখ্যায়িত করে বিপ্লবী সরকারকে চ্যালেঞ্জ ও বিগত স্বৈরাচারী সরকারকে পুনর্বহালের অপচেষ্টা অব্যাহত রাখায় নিম্নের শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।’
এ বিষয়ে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা জানান, আওয়ামী লীগের সময় প্রভাব খাটিয়ে ও বিরোধী শিক্ষকদের জামায়াত, শিবির ও জঙ্গি আখ্যায়িত করে মানসিক পীড়া দিতেন আবু সালেহ সেকেন্দার। সরকার পতনের পরও আওয়ামী লীগের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট ও কলাম লিখে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টাল 'ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক ভুল' শিরোনামে কলাম লিখেন তিনি।
কলামে তিনি উল্লেখ করেন, 'যে আইনের ধারায় ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করেছে তা বেশ হাস্যকর ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। আল-কায়েদা বা আইএস নিষিদ্ধ করা আর ছাত্রলীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এক বিষয় নয়। দলীয়ভাবে ছাত্রলীগ আল-কায়েদা বা আইএসয়ের মতো ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমকে উৎসাহীত করেনি। তাহলে আল-কায়েদা ও আইএসের মতো একই আইনে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করলে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না এটাই স্বাভাবিক।'
জানা যায়, নারী কেলেঙ্কারি, থিসিস পেপার জালিয়াতি ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় আবু সালেহ সেকেন্দারকে। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট থেকে একটি তদন্ত কমিটি চলমান আছে। তবুও আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে এতোদিন পর্যন্ত বেতন ভাতা নিয়ে আসছেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available