হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রথম একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনায় ছিল না শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি দাওয়া।
১৫ জানুয়ারি বুধবার সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮তম একাডেমিক কাউন্সিল। ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এটাই প্রথম একাডেমিক কাউন্সিল সভা। একাডেমিক কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন অভ্যুত্থান পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য প্রফেসর ড. এনামউল্যা। সভায় উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত উপউপাচার্য প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম সিকদার, নবনিযুক্ত ট্রেজারার প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর কবির, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত ৫ জন সদস্যসহ ৬৮ জন সদস্য।
জানা যায়, ৬৮তম একাডেমিক কাউন্সিলের মূল এজেন্ডা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড গঠন, গুচ্ছে থাকা নিয়ে সিদ্ধান্ত এবং পিএইচডি ডিগ্রির গ্রাজুয়েট অনুমোদন। এছাড়াও বিভিন্ন একাডেমিক বিষয় যেমন একাডেমিক ক্যালেন্ডার ও ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাডেমিক কাউন্সিল সভায় শুরুতে জুলাই অভ্যুত্থানসহ সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতিথিদের বক্তব্যে জুলাই বিপ্লব ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে কথা হলেও শিক্ষার্থীদের বিষয় নিয়ে ছিল না কোনো এজেন্ডা।
গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. এনামউল্যা ও উপউপাচার্য প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম সিকদারের সাথে সাক্ষাৎ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এর কাছে লিখিত আবেদনপত্র জমা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেডিট ফি ১৫০ টাকা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এটিকে ৮০-১০০ এর মধ্যে করার দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে ইমপ্রুভ দেওয়ার ক্ষেত্রে সিজিপিএ ২.২৫ দেওয়া থাকলেও শিক্ষার্থীরা এটিকে ২.৭৫ করার দাবি জানান। সেখানে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করে দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস প্রদান করেন। কিন্তু বাস্তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ৬৮তম একাডেমিক কাউন্সিলে এসব আলোচনা হয়নি।
এছাড়াও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময়ের দাবি সেশনজট নিরসন, ছাত্র সংসদ চালু, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন গঠন, ২য় সমাবর্তন আয়োজন নিয়েও কোনো কথা হয়নি একাডেমিক কাউন্সিলে।
এছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের নোটিশ হলেও সেটি একাডেমিক কাউন্সিলে পাস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতৃক গঠিত শিক্ষা সংস্কার কমিশনসহ বিভিন্ন সংস্কার কমিটির কেন্দ্রীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available