বাকৃবি প্রতিনিধি: ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে আকস্মিক অতিবৃষ্টি এবং ভারতের পাহাড়ি ঢলের কারণে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় এগিয়ে আসে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের জাতসমূহ, বিশেষত বিনাধান-২০, কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। যার ব্যাপক ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। দেরিতে রোপণের পরও হেক্টর প্রতি ফলন গড়ে ৫ টন করে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বিনার মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. আবুল কালাম আজাদ।
২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা হলে বিনা ধান ২০ এর অভাবনীয় ফলনের বিষয়ে তুল ধরেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদ জানান, বিনা উপকেন্দ্র কুমিল্লার মাধ্যমে কুমিল্লা ও ফেনী জেলার বন্যাকবলিত কৃষকদের মাঝে বিনাধান-৭, বিনাধান-১১, বিনাধান-১৬, বিনাধান-১৭, বিনাধান-২০ এবং বিনাধান-২২ জাতের ১৫০০ কেজি চারা ও বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। সেপ্টেম্বরে চারা রোপণ শুরু হলে দেরিতে রোপণের পরও বিনাধান-২০ এর ফলন অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা বিনাধান-২০ এর উচ্চ ফলন এবং বাজারমূল্য পেয়ে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এই ধান তাদের জন্য শুধু একটি ফসল নয় বরং দুর্যোগের পরে একটি নতুন আশার আলো হয়ে ফিরে এসেছে।
বিনার কুমিল্লা উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাসানুজ্জামান রনি বলেন, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় দেখা গেছে, বিনাধান-২০ রোপণ করার পর ১২০-১৩০ দিনের মধ্যে ধান কর্তন সম্ভব হয়েছে। বিঘাপ্রতি ১৮-২০ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে, যা অন্যান্য আমন ধানের তুলনায় ২০-৫০ শতাংশ বেশি। দেরিতে রোপণ করায় অনেক উফশী জাতের ধানে ফুল আসা সম্পন্ন হয়নি এবং চিটা বেশি হয়েছে। তবে বিনাধান-২০ এর ছড়ায় শতকরা ৮০ ভাগ দানা পুষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিনাধান-২০ একটি জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ ধান। এর চালের রং লালচে, যা পুষ্টিগুণে ভরপুর। চালের অনন্য রং এবং পুষ্টিমান থাকার কারণে বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available