জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন ও হল নির্মাণ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে একটি সভায় আবাসন সংকট নিরসনের জন্য স্টিল নয়, কংক্রিটের স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার উপাচার্যের কনফারেন্স কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার আলম বলেন, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ডিপিপি প্রণয়নের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। রিসোর্স মোবিলাইজও করা হয়ে গেছে। অর্থছাড় পেলেই কাজ শুরু হবে। সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করেই দ্রুত কাজ শুরু করার পরিকল্পনা চলছে। প্রথম ফেজের কাজ ডিসেম্বর ২০২৬ এর মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি, দ্রুততম সময়েই এটা সম্ভবপর হবে।
তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি হল (বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল) পুরোপুরি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের না। ডিসি অফিস থেকে অক্টোবরে ইস্যু হওয়া দুটি চিঠিতে জানা নায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এই হল দুটি অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করতে পারবে। তাই সেখানে কী রকম স্ট্রাকচার করা যাবে তা নিয়েও আজকে পরিকল্পনা আমরা করতে চাচ্ছি।
তিনি উল্লেখ করেন, স্টিলের স্ট্রাকচার করার কিছু সমস্যা আছে। তারমধ্যে আছে বড় ক্রেন আনা সম্ভব নয়, রোড ছোট (১১-১৮ ফুট), স্থাপনা নির্মাণের পর্যাপ্ত রেডিমেড উপাদান নাই, ফায়ারপ্রুফ করা যায় না, গেলেও তা ব্যয়বহুল, আমাদের দেশে স্কিলড লেবার নেই বা কম। অন্যদিকে কংক্রিট স্ট্রাকচার তুলানামূলক সময় ২০ থেকে ৩০ গুণ কম লাগবে, যেখানে স্টিলের স্থাপনার খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি। দুটি হলের পারিপার্শ্বিক পরিবেশের চেয়ে নতুন ক্যাম্পাসে ২০-২৫ ভাগ কম খরচে স্থাপনা করা সম্ভব।
ঢাকা জেলার এডিসি পারভেজ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কী পরিমাণ ভোগান্তি হয় তা আমরা জানি। হল দুটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে থাকলেও এটিতে অস্থায়ী স্ট্রাকচার করে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করতে পারে। জেলা প্রশাসকও আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে চান। আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি বা লিডারদের সাথেও কথা বলবো।
সভায় বিশ্ববিদ্যলায়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষার্থী বিষয়ক কমিটির সদস্যরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ তাদের মত প্রকাশ করেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন জবি রিপোর্টার্স ইউনিটি, সাংবাদিক সমিতি এবং প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সভায় স্টেক হোলান্ডার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available