সরকারি রাস্তা ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ, দুর্ভোগে শতশত কৃষক পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খাসপাড়ার রাস্তাটির বেহাল দশা, দেখার যেন কেউ নেই। এ কাঁচা রাস্তাটি (নয়া সড়ক) দিয়ে হালুকাইদ, ধলিপাড়া ও ইজ্জতপুর গ্রামের শত শত কৃষক রাজেন্দ্রপুর বাজারে কৃষি পণ্য নিয়ে যাতায়াত করত। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাটিয়াবাড়ী এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে আলী তাট স্বার্থে কৃত্রিম খানা-খন্দক তৈরি করে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী করেছে।ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন 'আলী ঢাকা বন বিভাগকে মেনেজ করে পদ্মা পেপার মিলসের ব্রজ্য ড্রামট্রাকে করে নিয়ে বনে ভিতরে আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট করছে।'সাটিয়াবাড়ী এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানায়, দীর্ঘ দিনের সরকারি পুরানো বনের ভিতর দিয়ে রেললাইনের পাশ দিয়ে শ্রীপুরের দিকে বয়ে চলা ১০ কিলোমিটার রাস্তাটির প্রায় দুই কি. মি. রাস্তা ব্যক্তি স্বার্থে ড্রামট্রাক দিয়ে পদ্মা বর্জ্য নিয়ে বেহালদশা করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।স্থানীয় আলামিন নামের এক ব্যক্তি জানান, এই রাস্তাটি দিয়ে র্দীঘদিন যাবৎ হালুকাইদ ও ধলিপাড়ার শতশত কৃষক খাসপাড়া হয়ে রাজেন্দ্রপুর বাজারে মাথায় ঝুরিতে করে সবজি নিয়ে যেত। কিন্তু বর্তমানে রাস্তাটি দেবে গিয়েছে এংব কাঁদার জন্য এ রাস্তাটি ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক নাম ভাঙ্গিয়ে আলী সেই পথটি বর্তমান চলাচলের প্রতিবন্দকতা সৃষ্টি করে দিয়েছে যার কারনে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি কাঁচা রাস্তার উপর ড্রামট্রাক যাওয়ার ফলে কাঁচামাল তরি-তরকারি সবজিসহ মাছ ইত্যদি নিয়ে হাটে যেতে পারছে না ওই এলাকার খেটে খাওয়া কৃষকরা। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির কারনে রাস্তটি বিভিন্ন ভাবে নষ্ট করে রেখেছে যার কারণে এই জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামের এ রাস্তাটি ব্যবহার করে প্রতিদিন ডাক্তার দেখানোর জন্য শত শত মানুষ সদর হাসপাতালে যায়। কিন্তু রাস্তায় ট্রাক উঠার কারণে সেটি ব্যাহত হচ্ছে ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার অনেক গর্ভবতী নারীসহ স্কুল-কলেজে পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। এক শ্রেণির স্বার্থন্বেষী মহল রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে বলে জানান ওই ব্যক্তি।তিনি আরও বলেন, অনেকে আবার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে নতুন করে বিএনপির লেবাস লাগানোর জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে মিশে নানান রকম ফন্দি ফিকির করছে এবং জটিলতা সৃষ্টি করছে। অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলী বলেন, আমি বর্জ্য নিয়ে টাকা কামিয়েছি। পুনরায় আমি এ রাস্তাটি যত টাকা লাগে মেরামত করে দেব। তা আপনাদের কথা বলার দরকার নেই।ব্যক্তি স্বার্থে সরকারি রাস্তা নষ্ট করার ও মেরামত করার এখতিয়ার কি কারও রয়েছে? এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেনি।প্রশাসনের কাছে এই রাস্তাটির উপর থেকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো বন্দ করাসহ সঠিক তদন্ত করে এই কৃত্রিম সমস্যা দূর করে এলাকার মানুষের দূর্ভোগের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার জোর দাবী জানিয়েছেন এলাকার সুধিজন।