সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে: জে বিডি সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনা যা করেছেন, তা না করাটাই নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি-এমনটাই মনে করেন চিন্তক ও সম্পাদক রেজাউল করিম রনি। আর দেশের সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর যোদ্ধাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে বাংলাদেশটাকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন জাগ্রত বাংলাদেশের (জেবিডি) সভাপতি আজমুল জিহাদ।২৭ অক্টোবর রোববার বিকাল ৪ টায় সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে জাগ্রত শিক্ষার্থী বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ: ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ সব কথা বলেন।জাগ্রত শিক্ষার্থী বাংলাদেশের আহ্বায়ক রিদওয়ান নোমানীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সাব্বির সঞ্চালনায় আলোচক হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন, চিন্তক ও সম্পাদক রেজাউল করিম রনি, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ও লেখক সারোয়ার তুষার, জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি আজমুল জিহাদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম ও জুলাই বিপ্লব পরিষদের স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ ফাহাদ।আলোচনা সভায় চিন্তক ও সম্পাদক রেজাউল করিম রনি বলেন, ‘সবাই শেখ হাসিনার ছবি বুকে ঝুলিয়ে রাখেন, যা যা হাসিনা করছে তা তা না করাটাই হবে নতুন বাংলাদেশের রাজনীতি।’জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষে শতভাগ মানুষের সমান মর্যাদা ও সমান সুবিধার বাংলাদেশ তৈরির জন্য, জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্য দরকার। ঐক্যের মধ্য দিয়ে ‘যেখানে বৈষম্য সেখানেই সংস্কার’ এই চিন্তাকে ভিত্তি ধরে, অন্তর্বতী সরকারকে বড়ো করে, সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের, সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের ও জুলাই গনঅভ্যুত্থানের বীর যোদ্ধাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে বাংলাদেশটাকে নতুন করে বিনির্মাণ করতে হবে।তিনি বলেন, যেটা ৭১ এর পরবর্তীতে সম্ভব হয়নি, তাই ৫৩ বছর খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের। ২৪ এ এটা কোনো ভাবে সম্ভব করতে হবে। ২৪ এ সম্ভব না হলে, আবার কয়েকশো বছর অপেক্ষা করতে হয়, সেটা সময়ের প্রশ্ন থেকে যায়। বার বার রক্ত দিবো, জীবন দিবো এভাবে আর কতো চলতে দিবো। এখনি এর ইতি টেনে, দেশটাকে সময় উপযোগী বিনির্মাণ করে নিতে হবে।জিহাদ আরও বলেন, ব্যক্তি অপরাধের যেমন সাজা হতে হবে তেমনি সাংগঠনিক অপরাধেরও সাজা হতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ছিলো যে কোনোভাবে অভ্যুত্থানকে ব্যার্থ করা। এর জন্য গণহত্যা দরকার হলে চালানো। সুতরাং এমন পরাজিত শক্তিকে নিষিদ্ধ করা সময়ের উপযুক্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ও লেখক সারোয়ার তুষার বলেন, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করাটা আরো ভালো হতো যদি সবগুলো ছাত্র সংগঠন মিলে আলোচনা করে জনসমর্থন তৈরি করার মধ্য দিয়ে করা হতো।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম বলেন, ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ কেন রাখতেই হবে? আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায় রুখে দাঁড়াবো।জুলাই বিপ্লব পরিষদের স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ ফাহাদ বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ হয়েছে, তবে এর প্রক্রিয়া নাগরিকের ঐক্যবদ্ধ দাবির প্রক্রিয়ায় হলে সেটি আরো বাস্তবিক রূপ পেতো। এছাড়া অভ্যুত্থানকে বিপ্লবে রুপান্তরের জন্য রাষ্ট্র সংস্কারের সকল আলাপ উপরতলার থেকে নিচে ভূমিতে নিয়ে যেতে হবে, যাতে নতুন সংস্কারে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় তাহলেই ফ্যাসিবাদী চেতনার বিলোপ হবে।জাগ্রত শিক্ষার্থী বাংলাদেশের আহ্বায়ক রিদওয়ান নোমানী বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ মানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ না, একটা সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।