ঢাকাকে বসবাস উপযোগী করতে হবে
বায়ুদূষণের সূচক অনুসারে পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরীর তালিকায় প্রতিনিয়তই শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। জানুয়ারি মাসে প্রায় প্রতিদিন ঢাকার বায়ুমান ছিলো বিপজ্জনক পর্যায়ে। বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর কিছু অভিযান পরিচালনা করলেও তা অপ্রতুল। ফলে নগরবাসীর স্বাস্থ্য এখন হুমকির মুখে।বায়ুমান যে পর্যায়ে উপনীত হয়েছে, তাতে সবাইকে ঘরের ভেতর থাকা উচিত। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখা উচিত। যা কোনভাবেই সম্ভব হবে না এই ব্যস্তনগরী ঢাকাতে। এই অবস্থায় ঘর থেকে বের হওয়ার কারণে হাঁপানি, নানা ধরনের শ্বাসতন্ত্রীয় রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরিবেশবাদী সাতটি সংগঠনের নেতারা গত বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ঢাকার মধ্যে মাটি বহনকারী ট্রাকগুলো ঢেকে মালামাল বহন করা ও নির্মাণ স্থান ঢেকে কাজ করা এবং মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ ও কার্পেটিং কাজ আইন-কানুন মেনে করা।রাজধানীর প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন সড়কে সব এলাকায় নিয়মিত পানি ছিটানো ও রাস্তার ওপর থাকা গাছে জমে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা। পানির ঘাটতি তৈরি হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দেওয়া আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবি করা হয়েছে। যেসব গড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ এবং গাড়ি পুরোনো হলে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। রপরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ায় পোড়ানো এবং ব্যাটারি ডিসাইকিপিং না করা। মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখা এবং সেগুলো সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে অপসারণ করা।এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ঢাকাকে দূষণমুক্ত করতে সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।