• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৩রা বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:২৭:৫৫ (16-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ৩রা বৈশাখ ১৪৩১ দুপুর ০২:২৭:৫৫ (16-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

শাহরাস্তিতে ২০০ একর জমির ধানে ব্লাস্ট, খোরাকি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

শাহরাস্তি (চাঁদপুর) প্রতিনিধি: চাঁদপুরের শাহরাস্তির চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের বড়তুলা গ্রামে উইন ৩০৫ জাতের ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। ধানের অধিকাংশই চিটা হয়ে গেছে। ফলে তারা বছরের একমাত্র ফসল হারিয়ে ‘খোরাকি’ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন।উপজেলার বড়তুলা গ্রামের কৃষকদের অভিযোগ, ধানে ব্লাস্ট রোগ ধরার পর কৃষি কর্মকর্তারা ছত্রাকনাশক বিষ দিতে বললেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। কৃষকের উইন-৩০৫ জাতের ধানের জমির প্রায় ৯০ ভাগ চিটা হয়ে যাওয়ায় শ্রমিকের খরচও উঠছে না। কেউ কেউ ধান জমিতেই ফেলে রাখছেন। কেউ হয়তো গরুকে খাওয়ানোর জন্য কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বলেন, কিছু জমির ধানে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উইন-৩০৫ জাত একটি নতুন জাত। পূর্বে খিরা ৫ ও ১৯ জাত চাষ করতো কৃষকরা। তবে এবার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের ১৫ জন কৃষক সরকারী প্রণোদনায় ধানের বীজ পেয়েছে। এই বছরেই এই জাতের ধান কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।কৃষক আব্দুল খালেক তার জমির ধান দেখিয়ে বলেন, উইন-৩০৫ জাত এবার আমাদের সঙ্গে বেইমানি করেছে। ক্ষেতকে ক্ষেত চিটায় ভরে গেছে। তিনি আরও বলেন, নিজের লোক নাই। রোজকামলা দিয়ে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে ১২০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। সবই শেষ। এবার চাল কিনে খেতে হবে।বড়তুলা গ্রামের কৃষক বদ্দুস মিয়া বলেন, আমার নিজের জমি নেই। ৭২ শতাংশ জমি বর্গা চাষ করেছিলাম। মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে এনে চাষ করেছিলাম। এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।একই গ্রামের কৃষক মীর হোসেন জানান, এভাবে দুর্যোগ আসবে তারা ভাবতেও পারেননি। পুরো ধানের ছড়ার প্রায় ৯০ ভাগ চিটা। ১০ ভাগ ভালো থাকলেও কাটানো খরচ দিয়ে তা পোষাবে না; তাই কেউ কেউ তা কাটার চিন্তা করছে না। অনেকে তা কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়াচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়শা আক্তার বলেন, ব্লাস্ট রোগ যখন প্রথম ধরা পড়ে তখন পাতা একটু একটু মরতে শুরু করে। তখনই কৃষকদের ধাপে ধাপে ‍তিন রাউন্ড ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেই। একই সঙ্গে ইউরিয়ার পরিবর্তে পটাশিয়াম সার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।তিনি আরও বলেন, চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ একর জমিতে উইন-৩০৫ জাতের ধান নষ্ট হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। তবে এটি মূল উৎপাদনে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না বলেও মনে করেন এই ‍কৃষি কর্মকর্তা।