• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৮ই চৈত্র ১৪৩১ সকাল ১০:৫৩:১৮ (01-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৮ই চৈত্র ১৪৩১ সকাল ১০:৫৩:১৮ (01-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

শিবচরে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি: মাদারীপুর শিবচরে সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়নের রাজারচর মোল্ল্যা কান্দি এলাকায় দুই বারের সাবেক মেম্বার মো. লালমিয়া বেপারী, তার বড় ভাই মো. চান  মিয়া বেপারী, ছোট ভাই মো. হেমায়েত উদ্দিন বেপারী ও আকমত শিকদারের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মানব পাচার মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।২৬ মার্চ সকাল ১১টায় এই মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন এলাকার বাসিন্দা জুয়েল রানা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার রামপুরা থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় শিবচরের রাজারচর মোল্লাকান্দি গ্রামের শুক্কুর বেপারীর ছেলে ও সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লালমিয়া বেপারী এবং তার দুইভাই চাঁন মিয়া বেপারী ও হেয়ায়েত উদ্দিন বেপারীকে। এই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের শিবচরের পাঁচ্চর থেকে লাল মিয়া বেপারীকে গ্রেফতার করে রামপুরা থানা পুলিশ। পরে মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়।এরপর খোঁজ নিয়ে স্বজনরা আরও একটি মানবপাচার মামলার সন্ধান পান। ২৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার গোয়ালচামট এলাকার আব্দুল সাত্তারের ছেলে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি করেন। সেই মামলায়ও সাবেক ইউপি সদস্য ও তার দুইভাইকে আসামি করা হয়। এই দুটি মামলায় যথাক্রমে ৪ ও ৭ জন আসামি রয়েছেন। কোনো কারণ, তদন্ত বা নোটিশ ছাড়া সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার ও মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।মামলার এজাহারে বলা হয়, ইতালি নেয়ার কথা বলে বাদী ও বাদীর বন্ধুদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন আসামিরা। পরে ইতালি নিতে ব্যর্থ হলে আদালতে মামলা দুটি দায়ের করেন বাদী। আদালত শুনানি শেষে দুটি মামলাই থানা পুলিশকে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।মানববন্ধনে সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কহিনুর হাওলাদার, ইউপি সদস্য জুলহাস মাল, গ্রেফতার লাল মিয়া বেপারীর মেয়ে মারিয়া আক্তার, হেমায়েত উদ্দিনসহ এলাকার তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।স্থানীয় এক বাসিন্দা হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমাদের লাল মিয়া মেম্বার অনেক  ভালো মানুষ। তিনি ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে এই ধরনের হয়রানিমূলক মামলা যারা করেছে আল্লাহ তাদের বিচার করুক। আমরা গ্রামবাসী সরকারের কাছে আবেদন জানাই সুষ্ঠু তদন্ত করে মুক্তি দেওয়া হোক।ভুক্তভোগী মাওলানা বিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমাদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। যারা মামলা করেছে তাদেরকে আমরা কেউ চিনি না। তবে জানতে পেরেছি আমাদের এলাকার বশির মাদবরের সাথে জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাইয়ের সাথে ঝামেলা চলছে। বশির মাদবর আদম ব্যবসার সাথে জড়িত এবং তার নামে একাধিক মানব পাচারের মামলা রয়েছে। এই বশির মাদবরই হয়তো মামলাগুলো করিয়েছেন। আমরা এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ মামলাবাজদের বিচার দাবি করছি।এদিকে রাজধানীর গুলশান থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, বাদী ও আসামিরা পূর্বে পরিচিত কিনা সেটা জানা নেই। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে। তবে, ঘটনার সত্যতা না পাওয়া গেলে কাউকেই হয়রানি করা হবে না।

জেলার ইতিহাস


দর্শনীয় স্থান