• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:০৮:৪০ (26-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১ সকাল ০৬:০৮:৪০ (26-Apr-2024)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

কসবায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান: নিরাপত্তা ঝুঁকিতে জনজীবন

১১ জানুয়ারী ২০২৩ দুপুর ০১:১৬:০৯

কসবায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান: নিরাপত্তা ঝুঁকিতে জনজীবন

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির দোকান। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গ্রাম-গঞ্জের ভেতরে বাড়ির সামনে গড়ে উঠা দোকানপাটেও অবাধে বিক্রি হচ্ছে ভয়ংকর ভাসমান বোমা সাদৃশ এসব এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই অবাধে এসব এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান গড়ে উঠলেও স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নজরদারী না থাকায় জনমনে বাড়ছে আতংক।

নিয়ম অনুযায়ী এ সকল এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়কেন্দ্র ও মজুদ রাখার জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকা ও পরিস্কার পরিছন্নতার বিষয়সহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও তার ধারে কাছেও নেই এলাকার গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদপ্তরের লাইসেন্স, বিস্ফোরক লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স রাখার বিধান থাকলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীরাই এসকল নিয়ম মানছেন না। মুদির দোকান, চায়ের দোকান, সেলুনসহ ভ্যারাইটিজ দোকানে সাধারণ পন্যের মতোই বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। শতকরা ৯০ ভাগ দোকানেই নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণের কাগজপত্র। বিক্রিও করছে ইচ্ছেমতো দামে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ক্ষেত্রে ছোট লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে প্রায় ৪০টি গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে রেখে বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু তাও মানছে না এসকল ছোট ব্যবসায়ীরা। বছরের শুরুতে উপজেলা প্রশাসন লাইসেন্সবিহীন কিছু বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রামমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানাসহ কয়েকটি দোকান সিলগালা করে দিলেও এর কয়েকদিন পর থেকেই আবারও পুরোদস্তর ব্যবসা করছে তারা। এ যেন সরকারি নিয়মনীতির প্রতি তাদের একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানো!

যথাযথ তদারকীর অভাবে দিন দিন উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই বাড়ছে ছোট ছোট এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতার সংখ্যা। গ্রামের প্রতিটি পরিবারেই এখন এলপি গ্যাস নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে গ্রাম গঞ্জের প্রতিটি মানুষ। নিয়মনীতি না মেনে এসকল গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা যেন ভাসমান বোমা নিয়ে খেলা করা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে বলা আছে, সেবাগ্রহীতার নিরাপত্তা এবং জীবন বিপন্ন হতে পারে, এমন কোনো কাজ যিনি করবেন; তাকে কারাদন্ড বা অনধিক ২ লাখ জরিমান অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার পৌরশহর, কুটি বাজার, গোপিনাথপুর বাজার, নয়নপুর বাজার, চারগাছ বাজার, খাড়েরা, মনকাশাইর, চৌমুহনী ও কাঠেরপুলসহ বিভিন্ন গ্রামের বাজারে গিয়ে দেখা যায় মুদির দোকান থেকে শুরু করে সবধরনের দোকানেই নিরাপত্তা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে বিক্রি করছে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। এছাড়া জনসমাগম এলাকায়, রাস্তার পাশে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের হোলসেল সেন্টার। ট্রাকের উপর থেকে গ্যাসভর্তি এসব সিলিন্ডার সাবধানতা ছাড়াই ছুঁড়ে ফেলছে নিচে সিলিন্ডারে স্তুপের উপর। ট্রাকের উপর থেকে সজোরে ছুঁড়ে ফেলার কারণে বিস্ফোরিত হয়ে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

গৃহিনী নাদীরা আক্তার বলেন, গ্রামের সব মহল্লাতেই নিত্যপণ্যের মতো বাড়ির পাশে অবস্থিত মুদির দোকানে পাওয়া যায় গ্যাস সিলিন্ডার। গৃহিনীরা জানালা দিয়ে ডাক দিলেই দোকানের কর্মচারীরা এনে সিলিন্ডার লাগিয়ে দিয়ে যায়। কিন্তু এসকল দোকানে নেই প্রতিরোধমুলক কোন ব্যবস্থা। যদি কোন কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে দোকানের পাশাপাশি বিস্ফোরিত হয়ে আশপাশের বাড়িঘরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  

বর্তমানে দাম বাড়িয়ে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডার কেউ ১৩শ টাকা, কেউ সাড়ে ১৩শ, আবার কেউ বিক্রি করছে ১৪শ টাকায়। মানুষ যেন তাদের কাছে এক প্রকার অসহায়। কিছুদিন আগেও ৯শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকায় বিক্রি হতো ১২ কেজির সিলিন্ডার। সবধরনের সিলিন্ডারেই বেশি দাম নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে।

খুচরা বিক্রেতা জুয়েল খান জানান, একমাস আগে আমরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে ৮৬০/৭০ টাকা কিনে সাড়ে ৯শ টাকায় বিক্রি করেছি। বর্তমানে আমাদের কিনতে হয় ১ হাজার ৩০ টাকায় । তাই আমার এখন ১৩শ থেকে সাড়ে ১৪শ টাকায় বিক্রি করছি। কি করবো বেশি দামে কিনে এনে কিছুটা দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

কসবা ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল্লা খালিদ বলেন, সকল গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের ফায়ার সার্ভিসের নিকট থেকে অগ্নিনির্বাপন প্রশিক্ষণসহ বিক্রির অনুমতি নিতে হবে। অগ্নিনির্বাপন প্রাথমিক প্রশিক্ষণ না জানলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বিক্রেতাসহ আশপাশের লোকজন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার মজুদদারসহ সকল বিক্রেতাদের দোকানে নিয়ম অনুযায়ী সবধরনের লাইসেন্স ও প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাবতীয় কাগজপত্র ও লাইসেন্স ছাড়া যে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অবৈধভাবে এবং অতিরিক্ত দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ








হরিরামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে হত্যা
২৫ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৮:৩২


রামগঞ্জে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন
২৫ এপ্রিল ২০২৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩:৫৪