ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি: তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার সুযোগে পাকা সড়কের পাশের অরক্ষিত গোয়ালঘরগুলোতে গরু চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আলোবিহীন নির্জন এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগে চুরির ঘটনা বেশি ঘটছে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে এ ধরনের চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পায়।
সর্বশেষ ৫ জানুয়ারি রোববার ভোর ৪টায় বগুড়ার ধুনট উপজেলার সুলতানহাটা গ্রামের কৃষক দুলাল আকন্দের গোয়ালঘর থেকে বিদেশি জাতের চারটি গরু চুরি করে দুর্বৃত্তরা। দুলাল আকন্দ, যিনি জমি চাষাবাদের পাশাপাশি গবাদিপশু পালন করেন, তার বাড়ি ধুনট-সারিয়াকান্দি পাকা সড়কের পাশে। চোরেরা গভীর রাতে মিনি ট্রাক দাঁড় করিয়ে গোয়ালঘর থেকে গরুগুলো তুলে নিয়ে যায়।
এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর কান্তনগর-চরপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নান ও জাহিদুল ইসলামের চারটি গরু এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পশ্চিম গুয়াডহরী গ্রামের আশরাফ আলীর দুটি গরু চুরি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংঘবদ্ধ চোরের দল পরিকল্পিতভাবে চুরি চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের নজরদারির অভাব এবং রাত্রিকালীন টহলের অনুপস্থিতির কারণে চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের মতে, কৃষকরা নিজেদের সঞ্চয়, ঋণ বা ধার করে গরু কিনে লালন-পালন করেন। গরুর দুধ বিক্রি বা চাষাবাদের মাধ্যমে সংসারের খরচ চালান। কিন্তু গরু চুরির ঘটনায় এসব পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। অনেকেই চুরির ভয়ে গরু পালনের আগ্রহ হারাচ্ছেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম জানিয়েছেন, গরু চুরি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং চোরাই গরু উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে। মামলার তদন্তও অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকরা সড়কবাতি স্থাপন, রাতের বেলা পুলিশের নিয়মিত টহল এবং এলাকাভিত্তিক সচেতনতা কার্যক্রম চালানোর দাবি জানিয়েছেন।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available