নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের মোস্ট ওয়ানটেড ১৯ মামলার বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
১৫ মার্চ শনিবার মধ্য রাতে উপজেলার বড়িকান্দি মাজার এলাকা থেকে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়া লতিফুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকস দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) ওবায়দুর রহমান রাতে মুঠো ফোনে এ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে বসবাসরত লাখো মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক মনেক ডাকাত আবারও গ্রেফতার হয়েছেন, এমন খবরে স্বস্তি বিরাজ করছে। অন্যদিকে মনেক ডাকাত অতীতের মতো যেকোনো সময় জামিনে বের হয়ে এসে এলাকায় পুনরায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারে এই আতঙ্কেও ভুগছেন পশ্চিমাঞ্চলবাসী।
এলাকার একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, ‘যখন যে সরকার আসে, সেই সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে মনেকের ওঠাবসা থাকে। তাই বারবার গ্রেফতার হলেও মনেক ডাকাতকে বেশিদিন জেলে থাকতে হয় না। দ্রুতই তার জামিন হয়ে যায়।’
তবে নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সম্প্রতি একটি বিয়ে বাড়িতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় বাবা-ছেলেসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনার মূল হোতা হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ ১৬ মার্চ রোববার চালান দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এবার সহসা জেল থেকে সে ছাড়া পাবে না।’
শনিবার রাতে স্থানীয়রা প্রতিবেদককে জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বড়িকান্দিতে অলি মিয়ার বাড়িতে তার ছেলের বিয়ে চলছিল। এ সময় পার্শ্ববর্তী নূরজাহানপুরের বাসিন্দা, এলাকার কুখ্যাত মনেক ডাকাতের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আচমকা সশস্ত্র হামলা চালায়।
ডাকাত দলের হামলায় বিয়ে বাড়ি লন্ডভন্ড হওয়াসহ বাবা-ছেলেসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর মনেকসহ ১০/১২ জনের নামে নবীনগর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন অলি মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুঃখজনক হলেও সত্য, ওই মামলার পরও মনেক ডাকাত গত দেড় মাস প্রকাশ্যেই এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। এসময় মনেক ও তার সশস্ত্র বাহিনীর ভয়ে লোকজনকে চরম আতঙ্কে থাকতে হয়েছে।
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিয়ে বাড়িতে মনেক বাহিনীর তাণ্ডবের পর মনেক ও তার পুরো বাহিনী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এরপরও পুলিশ ওই গ্রামে এলাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বসিয়েছিল।’
ওসি আবদুর রাজ্জাক আরও জানান, চুরি, ডাকাতি, মাদক, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ১৯টি মামলার মোস্ট ওয়ানটেড আসামি এই মনেক ডাকাত। পুলিশ বারবার অভিযান চালিয়েও তাকে এতদিন খুঁজে পায়নি। অবশেষে র্যাব পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হলো।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available