নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আল-আমিন মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ করে মা মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফয়েজ আহমেদ মিন্টু ও তার ভাতিজা আরিফের বিরুদ্ধে।
১৪ এপ্রিল সোমবার ভোর রাতে উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের কুকুরিখিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুকুরিখিল গ্রামের এছহাক মিয়া মজুমদার দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাছের খামার দিয়ে পোনামাছ উৎপাদন করে আসছে। রমজান মাসে খামার থেকে মাছ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফয়েজ আহমেদ মিন্টুকে হাতেনাতে আটক করে খামারের কর্মচারীরা। পরে তার স্বজনরা বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে পলাতক থাকে।
গত ৪ এপ্রিল বাড়ীতে আসলে তাকে আটক করে গ্রামবাসী শালিস করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। পরে ফয়েজ আহমেদ মিন্টু বাদী হয়ে খামারের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এর পর থেকেই ফয়েজ আহমেদ মিন্টু, তার ভাতিজা বাবুল, ছেলে আরিফ ও বাবুলের স্ত্রী আমেনা বেগম প্রকাশ্যে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
এছহাক মিয়া মজুমদার জানান, সোমবার ভোর ৪ টার দিকে প্রতিদিনের মত খামার পরিদর্শনে গেলে দেখতে পায় ফয়েজ আহমেদ মিন্টু, তার ভাতিজা বাবুল ও ছেলে আরিফ পুকুরে কি যেন ফেলে তাকে দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ফজরের নামাজের পর খামারের কর্মচারীরা খামারে বড় বড় কাতল, রুই, বিগ্রেড, গ্রাসকাপ, কৈ, কার্পু, মৃগেল, রুই মাছ ভাসতে দেখে খবর দিলে লোকজন দেখার জন্য জড়ো হয়। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available