কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: বিএনপি-জামায়াতের দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধেও সদরঘাটের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে । তবে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অবরোধে যাত্রীর চাপ নেই বললেই চলে। ৫ নভেম্বর রোববার রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, অন্য সময়ে সদরঘাটের যাত্রীর চাপ থাকলেও এখন হাতেগোনা কিছু যাত্রী রয়েছেন। যেসব যাত্রী অবরোধেও লঞ্চে পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের মধ্যেও বিরাজ করছে আতঙ্ক।
যাত্রী না পাওয়ার কারণে সকালে শিডিউলের ৫টি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ।
তিনি জানান, সকাল থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ইমাম হাসান-৫, এমভি রহমান, সোনার তরী-২, বোগদাদীয়া-৮। ভোলার ইলিশার পথে ছেড়ে গেছে দোয়েল পাখি-১০ এবং কর্ণফুলী-১৪। অন্যদিকে বরিশালের মৃধারহাটের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ঝাণ্ডা-২ লঞ্চ। এছাড়া শরীয়তপুরের নড়িয়া ও হাটুরিয়ার দিকে ছেড়ে যায় সুরেশ্বর-১ ও বোগদাদীয়া-৬ লঞ্চ। আর ভোলার হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় টিপু-৬।
চাঁদপুরগামী যাত্রী মো. রাসেল বলেন, জরুরি প্রয়োজনে চাঁদপুর যাচ্ছি। রাস্তায় অনেক ভোগান্তি, গাড়ি নেই। আগে চাঁদপুরে কিছুক্ষণ পর পর লঞ্চ পেতাম কিন্তু এখন পাচ্ছি না, কখন লঞ্চ ছাড়বে তার ঠিক নেই।
এদিকে লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এমনিতেই পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ৬০ শতাংশের অধিক লঞ্চে যাত্রী কমে গেছে। তখন থেকেই প্রতিটি ট্রিপে অনেক টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে আমাদের। এরপর উপায় না পেয়ে গত ১০ আগস্ট থেকে কিছুটা লোকসান কমাতে রোটেশন পদ্ধতি চালু করা হয়।
নৌপথের যাত্রা নিরাপদ রাখতে নৌপুলিশ সার্বক্ষণিক নদীতে টহল দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম।
এদিকে অবরোধের আগের দিন শনিবারও সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ছিলো । এদিন সদরঘাট থেকে ৬১ টি লঞ্চ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পথে ছেড়ে যায়। আর অন্যান্য গন্তব্য থেকে ঢাকায় ভিড়েছে ৬৩ টি লঞ্চ। কিন্তু রোববার সকালেই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। সদরঘাট থেকে শিডিউল অনুযায়ী অনেক লঞ্চ ছেড়ে গেলেও যাত্রী নেই বললেই চলে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available