জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড় কেজি সোনাসহ ১ দম্পতিকে আটক করেছে বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আটক দুজন হলেন, মো. ফারুক (৫২) ও রাণী আক্তার।
২৭ নভেম্বর সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, সোমবার ভোরে এপিবিএন এবং এনএসআইএর যৌথ আভিযানে বহুতল কার পার্কিং এলাকায় অভিযুক্তদের সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং এনএসআইয়ের সদস্যরা তাদের আটক করে। এপিবিএন ও এনএসআইয়ের সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের সামনে আসামি ফারুক তার পরিহত প্যান্টের ডান ও বাম পকেট থেকে সাদা টিস্যু দিয়ে মোড়ানো ৬টি সোনার চেইন, চুড়ি ৯পিস, হার ২টিসহ মোট ৭৯৬ গ্রাম সোনার অলংকার পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪ হাজার ৮০০ টাকা।
জিয়াউল হক আরও জানান, অপর আসামি রাণী আক্তারের হাতে থাকা একটি লেডিস ব্যাগের ভেতর থেকে সাদা টিস্যু দিয়ে মোড়ানো সোনার চুড়ি ৬০ পিস, সোনার আংটি ৯পিস, কানের দুল ৫পিস, ব্রেসলেট ১পিস, গলার হার ৫পিস, লকেট ৪পিস ও চেইন ৩পিস পাওয়া যায়। যার মোট ওজন ৮০১ গ্রাম। আর বাজার মূল্য ৭০ লাখ ৪৮ হাজার ৮০০ টাকা। আসামিদের কাছে সোনার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিনধরে সোনা চোরাচালান করে আসছিলেন এবং সোনা চোরাচালান দলের সক্রিয় সদস্য। এছাড়া সোনাগুলো তারা জনৈক এমদাদ নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে গ্রহন করেছেন। এছাড়া এই সোনাগুলো সৌদি প্রবাসী সোলাইমান সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেশে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর এই স্বর্ণগুলো এমদাদের কাছে আসে আর এমদাদ আসামিদের কাছে দিয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available