নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথমবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে অবহেলিত ঢাকা-১৮ আসনের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ চেয়েছেন এ আসন থেকে নবনির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী।
১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দেন তিনি।
বক্তব্যে খসরু চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১৮ আসন বিগত বছরগুলোতে ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত। ঢাকা-১৮ আসনের ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ড ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়। নতুন ১২টি ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো খানাখন্দে ভরা। সিটি কর্পোরেশন কয়েকটি সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাগুলোর কাজ দ্রুত শেষ হচ্ছে না। রাস্তা খোঁড়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষজন। ঝুঁকি নিয়ে এসব রাস্তা দিয়ে মানুষদের চলাচল করতে হয়। স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী ও অসুস্থ রোগীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
সংসদ সদস্য আরও বলেন, সু-পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দুপুরে মানুষের গোসলের সময় রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। শুক্রবার ছুটির দিন মানুষজন বাসায় থাকায় কাপড় ধোয়া ও গোসলের চাপ বেশি থাকে। এতে করে রাস্তাগুলো থাকে পানির নিচে। বর্ষাকালে রাস্তাগুলো মানুষ ও যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে। সারা বছরই মানুষজনকে অনেক কষ্ট করে কর্মস্থলে যেতে হয়। তাই মাননীয় স্পিকার আমি ঢাকা-১৮ আসনের রাস্তাগুলোর দ্রুত উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ চাই।
মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়ার প্রত্যয়ে খসরু চৌধুরী এমপি বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহার ছিলো মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত ঢাকা-১৮ আসন গড়া। ঢাকা-১৮ আসনে দেশের প্রধান বিমানবন্দর অর্থ্যাৎ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত। বিমানবন্দর যে কোনো দেশের আয়না। দেশের সুনাম রক্ষার্থে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিমানবন্দরে হয়রানি বন্ধ তথা পরিচালনা কার্যক্রমে গতি আনার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঢাকা-১৮ আসনে সন্ত্রাসী, কিশোর গ্যাং ও চাঁদাবাজদের দমনে এবং এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ঢাকা-১৮ আসনের নাগরিকদের কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করার বিষয়ে খসরু চৌধুরী বলেন, ঢাকা-১৮ আসনের ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডের জনগণ সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। এখানে ২টি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি যে ১২টি ওয়ার্ড ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয়েছে সেখানের নাগরিকরা নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না। এখানে নাগরিক সেবা একদম নেই বললেই চলে। তাই আমি আমার এলাকায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ধার্যকৃত সকল কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করতে অনুরোধ করছি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available