নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে জাগ্রত বাংলাদেশ (জে বিডি)। ২৩ মার্চ শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে যৌন নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। নারী সহিসংতা বন্ধ না হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
দলের সভাপতি আজমুল জিহাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন ভূঁইয়া’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে দলের সহ-সভাপতি অ্যাড. এ ইউ জেড প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মহিউদ্দিন মামুন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোমান কবির, কেন্দ্রীয় সদস্য জাসেম আলম, রুবেল হোসেন, এডভোকেট হায়দার রবিউল ইসলাম রবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে দলের সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, দলের সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যেন যৌন নিপীড়ন ও নারী সহিংসতার এক অভয়ারণ্য। যত অপরাধই করুকনা কেন, ক্ষমতার প্রভাবে সব অপরাধ ক্ষমা পেয়ে যায় এই ক্ষমতাসীন রাবন ছানারা। বেশি আলোচনা সমালোচনা নিউজ হলে নামকাওয়াস্তে তদন্ত কমিটি করা হয়। কমিটি সাময়িক সাসপেন্ড এর নামে বেতন সহ ২ বছরের রিলাক্স টাইম দেয় অপরাধীকে। রিলাক্স থেকে ফিরে এসে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠে, আরও প্রবল উৎসাহ নিয়ে আবার অপরাধ করে এসব যৌন সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, বাংলার আর একটা পুষ্পও ঝড়ে পড়ার আগে আসুন জাগ্রত হই, যৌন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, যৌন নিপীড়ন ও নারী সহিংসতা বন্ধের দাবি নিয়ে এক হয়ে প্রতিবাদ করি। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনি।
দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, প্রত্যেকটা ক্যাম্পাস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ যৌন হয়রানি, নারী সহিংসতার আখড়ায় পরিণত হয়ে আছে প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্যভাবে।যেখান থেকে জাতি দিকপ্রাপ্ত হবে আজ সেই শিক্ষার আতুড়ঘর সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হচ্ছে দিকভ্রান্ত কিছু কুলাঙ্গার বর্বরদের মধ্যযুগীয় আচরণের কারণে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজ নারী শিক্ষার্থী এমনকি নারী শিক্ষকরাও সহিংসতার শিকার। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও সহপাঠীদের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে নারীরা।
তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নবিরোধী সেল রয়েছে। রয়েছে একাধিক কমিটিও। কিন্তু এ সব কমিটির কার্যক্রম অনেকাংশেই নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। দেখা গেছে, যৌন নিপীড়নের অধিকাংশ ঘটনাই ক্ষমতার দাপটে চাপা পড়ে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, জাগ্রত বাংলাদেশ অবিলম্বে এ সব সহিংসতার প্রতিরোধ চায়। আসুন আমরা যৌন ও নারী নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই। প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে প্রলুব্ধ করি। জাগ্রত বাংলাদেশ গণমানুষকে সাথে নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিভাবে এর মোকাবিলা করবে।
মানববন্ধন থেকে বেশকিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. শিক্ষক ও কর্মকর্তা দ্বারা শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল বা যে সব কমিটি করা হয়েছে। অবিলম্বে তা কার্যকর করতে হবে।
৩. শিক্ষক বা শিক্ষার্থী, কর্মকতা বা কর্মচারী সকল স্তরের নারীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।
৪. যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available