নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশান থানার অধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কাউসার নামের এক পুলিশ কনস্টেবলের এলোপাথাড়ি গুলির শিকার হয়ে মারা গেছেন আরেক পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল।
একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে একজন পথচারী ও অপরজন জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক। ৮ জুন শনিবার দিবাগত রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পুলিশ সদস্য মনিরুল এবং ঘাতক কাউসার ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি ডিভিশনের কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) রিফাত রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্য পড়ে থাকার খবর পাওয়া মাত্র ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে রাত পৌনে ১২টার দিকে ফিলিস্তান দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে এলোপাথারি গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবল(৩৬ ৯৮১) মারা গেছে৷ গুলি করেছে কনস্টেবল কাউসার আহমেদ। তাকে আমরা হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়েছি।’
কাউসার কী কারণে মনিরুলকে হত্যা করেছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
৮ জুন শনিবার দিনগত ২টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি একথা বলেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, ‘রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available