নিজস্ব প্রতিবেদক: মো. মিলন মিয়া একটি আদর্শের নাম, জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে দোর্দণ্ড প্রতাপ নিয়ে অকথ্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এক হুঙ্কারের নাম। উত্তরা মা মাটি মানুষের এই নেতাকে দাবিয়ে রাখতে হাসিনা ও তার বাহিনীরা বিভিন্ন সময়ে চালিয়েছে নৃশংস নির্যাতন ও নানান ষড়যন্ত্র। শিকার হয়েছেন দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কুচর্কীদের কূটচালেও।
মিলন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি রাজনীতির মাধ্যমে শুভ সূচনা করেন। বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির সভাপতি কুদরত এলাহি লিটন ও সাধারণ সম্পাদক তারেকের নেতৃত্বে পালন করতেন দলের সকল কর্মসূচি । এ কমিটিতে বৃহত্তর উত্তরা থানার সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পরবর্তীতে বয়স জনিত কারণে উচ্চপদস্থ নেতাদের নির্দেশনায় যুবদলের কর্মসূচি পালন করতে থাকেন। তৎকালীন বৃহত্তর উত্তরা থানা যুবদলের সভাপতি মো. আলী ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম তাকে দক্ষিণখান ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করেন। সফলতার সাথে দীর্ঘদিন এ দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
এরপর বৃহত্তর উত্তরা থানার যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। উত্তরা থানা পূর্ব ও পশ্চিম থানায় বিভক্ত হলে মিলন মিয়াকে উত্তরা পশ্চিম থানা যুবদলের আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। মো. মিলন মিয়া আজ অবধি উত্তরা পশ্চিম থানা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল করতে গিয়ে ঐতিহাসিক ওয়ান এলিভেনে সেনাবাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। রিমান্ডে তাকে মারধর করা হয়। হাত পায়ের সব কয়টা নখ তুলে ফেলা হয়।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে শবেবরাত রাতে গ্রেফতার হন তিনি। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহারা খাতুনের নির্দেশনায় কয়েকবারে দীর্ঘ দিন কারা ভোগ করতে হয় তাকে। র্যাবের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ছিলেন দীর্ঘদিন অসুস্থ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় (ক্রসফায়ার) দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়। সমসাময়িক পরিস্থিতি থেকে প্রাণে বাঁচতে হাই কমান্ডের নির্দেশে ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় পালিয়ে ফেরারি জীবন যাপন করতে থাকেন।
এক অভিযানে গাজীপুর জেলার গাজীপুরা অঞ্চল থেকে পুলিশ তাকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ২ বছরের সন্তানকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ মধ্যরাতে শ্যালকের জিম্মায় ছেড়ে দেয় তার স্ত্রী ও ২ বছরের মেয়েকে।
মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় উত্তরা পশ্চিম থানার পাশে থেকে ওসি রফিক তার টিম নিয়ে গ্রেফতার করেন মিলন মিয়াকে। রাতভর চলে ক্রসফায়ারের পাঁয়তারা। গ্রেফতারের পর কিছু সাংবাদিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং মুহূর্তেই চারদিকে খবরটি ছড়িয়ে পরে ফলে এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত মেয়র তাবিথ আওয়ালের নির্বাচনে উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টর আইইএস স্কুলে নির্বাচনী এজেন্ট সচিব থাকা অবস্থায় যুবলীগের গুন্ডাদের হাতে বেধরপ মার খেয়ে মাঠে পরে থাকে। একজন রিকশা চালক তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সূচনা থেকেই তাকে দাবিয়ে রাখতে হাসিনা ও তার বাহিনীর নৃশংস ষড়যন্ত্র চালিয়েছে। বিএনপির মাঝেও এমন কিছু মানুষ আছে যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চায়। তারা আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা বিএনপিতে ঢুকে রাজপথের সাহসী ও সংগ্রামী নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে নিজেদের ক্ষমতা মজবুত করে দল নষ্ট করতে চায়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available