নিজস্ব প্রতিবেদক: সীমান্তে হত্যার লাইন দীর্ঘতর হচ্ছে। কোনো কিছুতেই এর প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। স্বাধীন সর্বভৌম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ যেনো এক অঘোষিত যুদ্ধ। এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হওয়া এখন সময়ের দাবি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে দেশ। এ সময় প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। এটা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেও নির্ঘাত মানবাধিকারের লঙ্ঘন। অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে দুই দেশকে বসে হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে হবে। অন্যথায় স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশের মানুষ অযৌক্তিক কোনো কর্মকাণ্ড বরদাশত করবে না।
৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকালে শহীদ মিনারে জাগ্রত বাংলাদেশের সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএসএফ’র হাতে নিহত স্বর্ণা দাস স্মরণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন তারা।
মানববন্ধনে জাগ্রত বাংলাদেশের সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, যেখানে সকল বাঙালি এক মায়ের সন্তান। সেই বাংলা মায়ের বুকে রাজনৈতিক ভুলে কাঁটাতার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কতকাল খেসারত দিবো আমরা তার। একই আবহাওয়া, একই জল, একই ভাষা, একই সৈল। তাহলে কেনো আমরা একে অপরকে গুলি করবো? আমাদের হিংসা ভুলে বুলেটের ভাষায় নয়, মানবতা ও ভালবাসায় সহাবস্থানে থাকতে হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা ১৯৭৫ মেনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন। নিরপেক্ষ তদন্ত করে যে সৈনিক খুনের সাথে যুক্ত তার উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। এদেশের মানুষ ২৪ প্রজন্মের চেতনায় উজ্জীবিত তারা তাদের ক্ষেপিয়ে তোলা ভারত সরকারের উচিৎ হবে না।
এ সময় মানববন্ধন থেকে ঘোষণা করা হয়-
• সীমন্তে মানুষ হত্যা বন্ধ করতে হবে।
• তদন্ত সাপেক্ষে সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতনের বিচার করতে হবে।
• সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা মানতে (UDHR) হবে।
• জয়েন্ট ইন্দো-বাংলাদেশ গাইডলাইনস ফর অথরিটি ১৯৭৫ মানতে হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available