• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৯:২৮:১৯ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সকাল ০৯:২৮:১৯ (24-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

প্রিয় ঢাকা

প্রতিমন্ত্রীকে গ্যাসের জন্য ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৪ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ০৭:৩৭:২৯

প্রতিমন্ত্রীকে গ্যাসের জন্য ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগের শাসনামলে শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পেতে ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, শিল্প কারখানায় বিনিয়োগের পর গ্যাস পেতে নিজের টাকায় ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে হয়েছে। এই পাইপলাইন নির্মাণে শুধু রোড কাটিং বাবদ আমি ২০ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছি। আর এই ঘুষ দেওয়ার জন্যও আমাকে ঘুষ দিতে হয়েছে।

২৩ নভেম্বর শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের শিল্প খাতে জ্বালানি সংকট সমাধানের পথ শীর্ষক এ সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। তিনি বলেন, গ্যাসের জন্য জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাসার সামনে আমাকে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তার কাছ থেকে অনেক লেকচার শুনতে হয়েছে। মিনিমাম ইজ্জত পর্যন্ত পাইনি। তারপরও জ্বি স্যার, জ্বি স্যার বলতে হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ বশিরউদ্দিন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্প খাতের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতে দেশ নৈরাজ্যের চরম সীমায় পৌঁছেছিল। সে সময় ব্যবসায়ীদেরও কোনো মর্যাদা ছিল না। তবে এখন সে পরিস্থিতি বদলেছে। আমার অবস্থাটা এমন ছিল যে বৃষ্টির মধ্যে অনুনয় বিনয় করছি চাকরির জন্য। এর কারণ, এত টাকা বিনিয়োগ করেছি (শিল্পপ্রতিষ্ঠান তৈরিতে), কিন্তু গ্যাস সংযোগ পাচ্ছিলাম না। তখন গ্যাস সংযোগ পাওয়া আমার কাছে মনে হতো ব্যাংকের নিবন্ধন পাওয়ার মতো।

শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, যা হোক, বৃষ্টিতে ভিজে বাসার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়। এরপর ওনার সঙ্গে বসে অনেক লেকচার শুনেছি। কিন্তু সেসব কথা মানতে পারিনি; নিজের জ্ঞানের সঙ্গে মেলাতে পারিনি। তারপরও চেষ্টা করেছি শুনে যেতে। কারণ, কিছুই করার ছিল না।

এ সময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এখন আপনাদের যথাযথ মর্যাদার পরিবেশ রয়েছে। আপনারা এগিয়ে আসুন। সব কাজ সরকার একা করে দিতে পারবে না। নিজেদের টাকা নিজেদের জন্য নিজেরা ব্যয় করুন। অতীতে (প্রভাবশালীদের) এত টাকা দিয়েছি, তার হিসাবও করতে পারব না। এখন আর কাউকে তো টাকা দিতে হবে না। নিজেরাই নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এখন সুযোগ এসেছে, এ সুযোগ ব্যবহার করুন।

সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশ নৈরাজ্যের চরম সীমায় পৌঁছেছিল মন্তব্য করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বিগত সময়ে এ দেশে এমন এক বিচারহীনতা, ক্রনিক্যাপিটালিস্ট (স্বজনতোষী) ও একপেশে পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছিলাম, যেখানে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা ছিল না। আমাদের মেপে কথা বলতে হয়েছে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিজের মস্তিষ্ককে অসম্ভব চাপ দিয়ে (প্রভাবশালীদের) স্তুতি করতে হয়েছে। এমন সব ন্যারেটিভ (বর্ণনা) শুনতে হয়েছে এবং বিশ্বাস করতে হয়েছে, যা শোনার পরে নিজেকে আহত করতে ইচ্ছা হয়েছে। নিজের অর্জিত জ্ঞানকে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে।

জ্বালানি খাতকে দুর্নীতির অন্যতম জায়গা উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পরে কিছু আর্থিক অপরাধী সম্পর্কে জানতে পারছি। এসব জেনে আমার কিছু কিছু মানুষের ব্রেন স্ক্যান করে দেখতে ইচ্ছা করে যে এরা এতটা ক্রিমিনাল কী করে হতে পারে?

তিনি আরো বলেন, জ্বালানি খাতের বর্তমানে যে দুর্বলতা রয়েছে তা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পনা (ডিজাইন) করে করা হয়েছে। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে বাস্তবতাকে অস্বীকার করার প্রবণতা নেই। সুতরাং আমরা বিদ্যমান সমস্যার সম্ভাব্য সমাধানের দিকেও যেতে পারব বলে আশা করছি। এ জন্য ব্যবসায়ী মহলের সহযোগিতা চাই।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ




টাঙ্গাইলে বিএনপির জনসভা অনুষ্ঠিত
২৪ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ০৯:০৩:২৬




বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ
২৪ নভেম্বর ২০২৪ সকাল ০৭:৫৪:৫২