• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২৯শে মাঘ ১৪৩১ দুপুর ০১:৫৪:০৬ (11-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ২৯শে মাঘ ১৪৩১ দুপুর ০১:৫৪:০৬ (11-Feb-2025)
  • - ৩৩° সে:

প্রিয় ঢাকা

আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না: মঈন খান

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ বিকাল ০৪:৫৯:১১

আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না: মঈন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘নির্বাচন করার জন্য সরকার যৌক্তিক সময় নেবে’ দলের এমন বক্তব্যকে আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, এইসরকার যদি তাদের অবস্থানকে দীর্ঘায়িত করে, এটা যৌক্তিক হবে না। তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে শুরুতেই বলা হয়েছিল, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সরকারকে নির্বাচন দিতে বলা হয়েছিল। এটা গতকাল (রোববার) রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল কোন সময়টা যৌক্তিক। আমি বলেছিলাম এর উত্তর আমার কাছে নেই। তবে বাংলাদেশের তৃণমূলের মনুষ জানে কোন সময়টা যৌক্তিক নয়।

১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে রাজধানীর মোমেনবাগে ডেমোক্রেসি অডিটোরিয়ামে এক গোলটেবিল বৈঠকে মঈন খান এসব কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস, ছাত্র-জনতা এখন কোথায়? শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দি মিলিনিয়াম ইউনিভার্সিটি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান বলেন, গণতন্ত্রের জন্য দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছে। সর্বশেষ ২৪ এর আন্দোলনে যে নতুন সূর্যোদয় হয়েছে। সেই সূর্য কোনোদিন আমরা অস্তমিত হতে দিতে পারি না। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যে মুক্তির আনন্দ উপভোগ করে ছিলাম। এখন ছয় মাস পরে এসে সে আনন্দ উপভোগ করতে পারছি না।

মঈন খান বলেন, আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। আজকে কেনো এই পরিস্থিতি তৈরি হলো এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এদিকে বৈঠকে অংশ নিয়ে গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের হাতে সংস্কার এবং নির্বাচন। এই দায়িত্ব থেকে ব্যর্থ হলে আমাদের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটা নয়। আমরা নতুন কিছুর জন্য চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, এই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, বর্তমানে এমনটা বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলো কিছু করেনি এমন একটা ন্যারেটিভ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। করতেই পারে। রাজনৈতিক দল করলে তাদের একটা উদ্দেশ্য থাকে। নতুন পার্টি যে কেউ করতে পারে। তাদের স্বাগত জানাই। ক্ষমতার ছায়াতলে থেকে পার্টি করলে দেশের মানুষ ভালোভাবে নেবে না।

বিএনপি নেত্রী এবং সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, হাসিনা চলে যাওয়ার পর মনে হল, এখন বুঝি সুখ আর সুখ। হাসিনা একাই চলে গেলে তার সমস্ত চরিত্র বহমান। তিনি বলেন, এতদিন যারা আন্দোলনে ছিলেন তাদের এখন শুনতে হয়, চাঁদাবাজ।

বিএনপি নেত্রী আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট এক নয়। জিয়াউর রহমানের তখন বেঁচে থাকবার কথা না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা মনে করি, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে সরকারের ছয় মাস টিকে থাকাটাই বড় সাফল্য। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন, বিনিয়োগ বাড়বে এটাও আশাব্যঞ্জক হয়নি।

তিনি বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ডেভিল এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। সরকারের পক্ষ থেকে আগেই বড় ডেভিলদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন ছিঁচকে ডেভিলদের খুঁজছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিন। জাতিকে মুক্ত করুন।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো হাসিনার পতন চাইনি। এটা একটা ডাহা মিথ্যা কথা। তিনি বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করবে। ভালো কথা। কিন্তু এটা যেন কিংস পার্টি না হয়ে যায়। তাহলে রাজনৈতিক দলের প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই অভ্যুত্থানে সবার অংশ গ্রহণ আছে। এখানে কাউকে বড় কাউকে ছোট করা যাবে না।

রাশেদ খান আরও বলেন, সরকারের উচিত হবে কিংস পার্টিকে সহযোগিতা না করা। অন্যথায় ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীনের পরিণতি হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেন, যারা দায়িত্বে আছে তারা নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন। আমাদের এখন একমাত্র তৃপ্তি হাসিনাকে আর দেখতে হচ্ছে না।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার ও সাংবাদিক আকবর হোসেন মজুমদার বলেন, আমাদের সমাজে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। গত তিন-চার মাস ধরে দেখতে পাচ্ছি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আন্দোলনে সবারই অংশগ্রহণ ছিল।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট এবং ফ্যাসিস্টের দোসর ফিরে আসুক এটা কেউ চায় না। এমন কিছু জায়গায় সবাই একমত। সুতরাং ডেমোক্রেসি, লিবারেল, উদারপন্থি, সহনশীল সমাজ লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

বৈঠক সঞ্চালনা করেন, দি মিলিনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিজ বোর্ডের চেয়ারপাসন অ্যাডভোকেট রোখসানা খন্দকার। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দি মিলিনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অভিনয় চন্দ্র সাহা।

বৈঠক আরও বক্তব্য দেন, প্রাণ আরএফ এলের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, সাংবাদিক মঞ্জরুল আলম পান্না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু প্রমুখ।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ



শিশুদের নিয়ে ঝগড়া, নিহত ১
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪:৫১


সাগর-রুনি হত্যার ১৩ বছর আজ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ১২:২০:৩৩

দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ দুপুর ১২:০৮:৪২