সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি ৭ কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণ-আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে।
জানা যায়, গত ৩ মাস ধরে চলা এ আন্দোলনের এখন পর্যন্ত কোন পজিটিভ নোটিশ আসে নি। ২৩ আগস্ট বুধবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৭ কলেজ সমন্বয়কের সাথে মিটিং শেষে জানান, সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের দাবি মেনে নিয়ে ২৭ আগস্ট রোববারের মধ্যে কোন লিখিত নোটিশ না দিলে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে তারা গণ-আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র তাকিবুর হোসাইন বাপ্পি।
তিনি আরও বলেন, বুধবার আমাদের আন্দোলনে নামার কথা ছিলো কিন্তু ৭ কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের অনুরোধে আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
আন্দোলনের আরেক মুখপাত্র তাসলিম চৌধুরী বলেন, অনেক শিক্ষার্থী কান্না করছেন। সত্যিকারের আত্মহত্যা করতে তারা প্রস্তুত। দাবি মেনে নেয়া না হলে সোমবার তারা আত্মহত্যা করবেন। ঢাবি কর্তৃপক্ষ ও ৭ কলেজে কর্তব্যরত সকলের বিরুদ্ধে তারা আত্মহত্যার নোট লিখে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি মূলত, প্রথম বর্ষ থেকে দ্বিতীয় বর্ষে প্রমোশন পেতে সিজিপিএ ২ প্রয়োজন, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বর্ষে ২.২৫ এবং তৃতীয় থেকে চতুর্থ বর্ষে প্রয়োজন সিজিপিএ ২.৫০। ঢাবির এ শর্ত কোন শিক্ষার্থীর পূরণ না হলে তাকে আবার একই বর্ষে থেকে সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। তারা এ সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে ৩ বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন চান।
জানা যায় সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য শিক্ষার্থীদের বলেন- দেখো বাবা তোমারা ভেঙে পড়ো না। রোববার আমি তোমাদের জন্য একটা পজেটিভ নোটিশ নিয়ে আসবো।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা তাকে (সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য) জানিয়ে এসেছে যদি আপনি আমাদের পজিটিভ নোটিশ না দেন, তাহলে আগামী সোমবার গণ-আত্মহত্যা হবে। এখানে যেই আসুক কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না।
কীভাবে এই গণ-আত্মহত্যা হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, এটা সত্যিকারের আত্মহত্যা হবে। বিষ ও ফাঁসির দড়ি আনা হবে। বিষ থাকবে সবার হাতে এবং ফাঁসির দড়ি থাকবে নীলক্ষেতের ট্রাফিক লাইটের উপরে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ঢাবির অধিভুক্ত ৭ কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এস. এম. মাকসুদ কামাল ও ৭ কলেজের সমন্বয়ক ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য গত ৩ মাস ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশার বানী শুনিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন সুফল বয়ে আনতে পারেন নি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available