নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: শীতের শিশির ভেজা সকালে কুয়াশার চাদরে ঘেরা কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিভিন্ন গ্রামে মাঠ ঢেকে রয়েছে সরিষার ফুলের চাঁদরে। সরিষার সবুজ গাছের হলুদ ফুল শীতের সোনাঝরা রোদে ঝিকিমিকি করছে এক অপরুপ দৃশ্য। যেন প্রকৃতিকন্যা সেজেছে ‘হলুদ বরণ সাজে’।
সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ। গ্রামের বিভিন্ন মাঠে এখন শুধু সরিষা ফুলের চোখ ধাঁধানো সমারোহ। মৌমাছির গুনগুন শব্দে ফুলের থেকে মধু সংগ্রহ আর প্রজাপতির এক ফুল থেকে আরেক ফুলে উড়াউড়ি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। ভোরের বিন্দু বিন্দু শিশির আর সকালের মিষ্টি রোদ ছুঁয়ে যায় সেই ফুলগুলোকে।
গত কয়েক বছর ধরে সরিষা চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষ বেড়েছে কৃষকের চলতি মৌসুমে। নাঙ্গলকোটে গ্রামীণ অঞ্চল গুলতে সরিষার বাম্পার ফলনে লাভবানের সম্ভাবনা দেখছে চাষিরা।
এখন শুধু ভালো ফলনের আশায় কৃষকেরা পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সরিষা চাষের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় সরিষার পাশাপাশি আলু, গম ও ভুট্টার বাম্পার ফলনেরও আশা করছেন চাষিরা।
কৃষকরা এই সরিষা যথা সময়ে ঘরে তুলতে পারলে বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে ইরি-বোরো ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান নাঙ্গলকোট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত চন্দ্র রায় জানান, চলতি মৌসুমে রায়কোট উত্তর-দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭০/৭৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
দাসনাই পাড়া গ্রামের কৃষক মা-ও আবু তাহের, সহিদ উল্লাহ মিয়াজী জানান, চলতি মৌসুমে আমি ৭ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে কমপক্ষে ৫/৭ মণ হারে সরিষা উৎপাদন হবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়ন বেকামুলিয়া, পিপড্ড্যা, চান্দের বাগ, বিভিন্ন মাঠে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন সরিষা চাষিরা।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available