বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি: ভোজ্য তেল সংকট ও তেলের চাহিদা পূরণে এবার জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই ব্যাপক হারে সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। বকশীগঞ্জের দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহে ঢেকে গেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। চোখ জুড়ানো হলুদ আর হলুদ ফুলের মৌ মৌ গন্ধে এ অঞ্চলের কৃষকরা স্বপ্নের জাল বুনছেন।
দিগন্তজুড়ে হলুদ ফুলে ঢাকা পরেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। যা দেখে মনে হয় পুরো এলাকাজুড়ে হলুদের গালিচা বিছানো এক নয়নাভিরাম ফসলের মাঠ। কুয়াশার জলরাশি ভেদ করে সবুজ মাঠের দেশে এখন হলুদের সমারোহ। কুয়াশা ভেজা মাঠে হিমেল হাওয়ায় হলুদ ফুলগুলো কৃষকের মনে দোল খেলছে। এই সরিষা ফুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ক্যামেরাবন্দিরও হিড়িক পরেছে।
চাষিরা মুখে হাসি আর চোখে স্বপ্ন নিয়ে ভালো ফলন পাওয়ার আশায় প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন। চলতি রবি মৌসুমে বকশীগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক সহিজল হক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কৃষকের ঘরে ঘরে উঠবে সেই কাঙ্ক্ষিত সরিষার শস্য দানা। এক বিঘা সরিষা জমি চাষ করতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। সরিষা বিক্রির পর সব খরচ বাদে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয়। কম খরচ, কম পরিশ্রম আর অল্প সময়ে সরিষা চাষ করা যায়। সরিষা অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। প্রতি বিঘা জমি থেকে চলতি মৌসুমে গড় ৭ থেকে ৮ মণ হারে সরিষার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও সরিষা চাষ করলে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় আর সরিষা তোলার পর বোরো ধান রোপণ করতেও কোনো অসুবিধা হয় না। এ কারণেই সরিষার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়াও বিনা চাষে রিলে প্রদ্ধতিতে ১৩০ হেক্টর। জমিতেও সরিষার চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন খুবই ভালো হবে। তেলের চাহিদা মেটাতে সরিষার আবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই কৃষি অফিস থেকে এসব কৃষকদের সরকারিভাবে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available