খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়া ও বিলে সাদাবুক মাছরাঙা পাখি দেখা মিলেছে। হঠাৎ গাছ থেকে ঝুপ করে কিছু একটা পড়ার শব্দ পেলাম। তাকিয়ে দেখি, একটি গাছের ডালে বসেছে একটি বড় মাছরাঙা। চকলেট রঙের তীক্ষ্ণ বড় ঠোঁট দিয়ে মাছটা টুপ করে গিলে ফেলল। ক্যামেরা তাক করে দুটি ক্লিক করতেই ওই সুন্দর পাখিটি উড়ে চলে যায়।
শহীদ কাদের সড়ক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিদিন এখানে অনেক ধরনের পাখি আসে। তবে এই মাছরাঙা পাখি বড় করে ডাক দেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ পাশ দিয়ে গেলেও সহজে উড়ে যায় না।
তিনি আরও বললেন, এটি সাদাবুক মাছরাঙা, এই পাখি সারাদেশেই দেখা যায়। চোখের আকার কিছুটা বড়, মাথার উপরের দিকটা চকলেট কালারের, বুকের রং সাদা ও ডানার রং নীল। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি একই ধরনের দেখতে হয়।
এই পাখির কথা তুলতেই আরেক ব্যক্তি বলেন, এটি কেবল মাছ নয়; গিরগিটি, ছোট ব্যাঙ, এমনকি ছোট পাখির ছানাও খেয়ে ফেলে অবলীলায়। তাই এরা জলে বা ডাঙায় উভয় জায়গাতেই বিচরণ করে। মাঝে মধ্যেই এত জোরে ডাক দেয় যে মানুষ চমকে ওঠে।
পাখিটি বেশ চালাক। ডোবা বা পুকুরের ধারে এমন জায়গায় বাসা তৈরি করে যে শত্রুর চোখে পড়ে না সহজে। এভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখে। জোড়া হয়ে বাসা তৈরি করে। বাসা তৈরির কৌশলটাও চমৎকার। গর্ত করেই একটা প্যাঁচ দিয়ে আবার গর্ত করে। ফলে সাপ এই গর্তে ঢুকে ডিম নষ্ট করতে পারে না। স্ত্রী-পুরুষ পাখি দুজন মিলেই ডিমে তা দেয়। ডিম দেশি কচ্ছপের ডিমের মতো দেখতে, তবে ছোট। সাধারণত ছয়টি ডিম দেয়। প্রজনন মৌসুম গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা।
এদের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে এয়ারগানধারী শিকারি। বড় পাখি বলে একে শিকারিরা মেরে খায়। একসময় প্রচুর দেখা গেলেও এখন সেভাবে আর শিকারি দেখা যায় না।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available