• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৬ই বৈশাখ ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:৪৯:৫৬ (19-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৬ই বৈশাখ ১৪৩২ সন্ধ্যা ০৭:৪৯:৫৬ (19-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

সারাবাংলা

গোপালগঞ্জে বাঙ্গির বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

১৯ এপ্রিল ২০২৫ সকাল ১০:০৪:৫১

গোপালগঞ্জে বাঙ্গির বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: বাঙালির মৌসুমী সুস্বাদু ফলের তালিকার জনপ্রিয় বাঙ্গি ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, অ্যাসিডিটি, আলসার, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধামন্দাসহ অনেক রোগের প্রতিকার করে থাকে। বাঙ্গি আমাদের দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের নানা রকমের সমস্যা দূর করতে বাঙ্গি সাহায্য করে থাকে। বাঙ্গি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নানা রকমের উপকার সাধন করে।

বাঙ্গি সাধারণত দুই ধরনের হয়। বালু ও এটেল জাতীয়। বালু স্বাদ বা এটেল স্বাদ যেমনই হোক না কেন বাঙ্গির কদর আলাদা। বাঙ্গি অতি মিষ্টি স্বাদের না হলেও গরমের সময় শরীর ঠাণ্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা মেলা ভার।

চলতি মৌসুমে গোপালগঞ্জের সর্বত্র বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে, রাস্তার পাশে, ভ্যানে করে সর্বত্র ঘুরে ঘুরে বাঙ্গি বিক্রি চলছে। খুচরা ৫০ টাকা থেকে ১২০ টাকার মধ্যে প্রতি পিচ বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই বছরের এসময় খুচরা বাঙ্গি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

মূলত নভেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাঙ্গি বীজ বপন করতে হয়। এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বীজ বপন করা যায়।

জেলায় বাঙ্গি উৎপাদন বেশি হয় কোটালিপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজার ও পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির রাস্তার দুইপাড়ে সারি সারি বাঙ্গির স্তূপ দেখতে পাওয়া যায় প্রতিদিন। এসব বাঙ্গি পাইকারী ক্রেতারা দূরদূরান্ত থেকে এসে কিনে নিয়ে যান।

নলুয়া গ্রামের পরিমল গাঙ্গুলি (৪০) বলেন, ‘এবছর আমি সাড়ে চার বিঘা জমিতে বাঙ্গি চাষ করে ভালো লাভ করেছি।’ একই গ্রামের কপিল বিশ্বাস (৩০) বলেন, ‘আমি দেড় বিঘা জমিতে বাঙ্গি লাগিয়েছি। খরচ বাদে ভালো লাভ হয়েছে।’

কোটালিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন রায় বলেন, ‘উপজেলার বেশির ভাগ চাষি স্থানীয় উন্নত জাতের বাঙ্গি চাষ করেন। বাজারে উচ্চ ফলনশীল জাতের বাঙ্গি বীজ পাওয়া যায় না। মধুমতি নামে একটি কোম্পানির বীজ পাওয়া যায় বাজারে। তাও স্থানীয় জাতের। এসব বীজ চাষিরা উৎপাদিত বাঙ্গি থেকে সংরক্ষণ করে থাকে। এখানকার জমি ৫২ শতাংশে বিঘা হিসাব করা হয়। বাঙ্গি চাষে প্রতি বিঘা জমিতে বীজ, রোপণ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা, সেচ, সংগ্রহ, পরিবহনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় হয় প্রায় ২৮ হাজার ৫ শত টাকা। 
প্রতি বিঘা জমিতে বাঙ্গি উৎপন্ন হয় প্রায় ৮ হাজার কেজি। প্রতি কেজির দাম দশ টাকা ধরলে ৮০ হাজার টাকা হয়। খরচ বাদে বিঘায় লাভ হয় ৬১ হাজার ৫ শত টাকা। ভালো লাভ হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখতে পাওয়া যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, জেলায় মোট ৩৫৮ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে কোটালিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে এ বছর। কৃষি কর্মকর্তারা বাঙ্গি চাষিদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে থাকে। 

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ



টঙ্গীর ২ শিশুকে হত্যা করেছেন তাদের মা: পুলিশ
১৯ এপ্রিল ২০২৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৯:১১