খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কম্পিউটার, প্রিন্টিং মেশিন, ডিজাইনের মতো ডিজিটাল শব্দগুলোর ভিড়ে এখন বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে হাতে লেখা ব্যানার, সাইনবোর্ড। আধিপত্য করছে ডিজিটাল প্রিন্ট। কম খরচে স্বল্প সময়ে পাওয়া যায় এই ডিজিটাল প্রিন্টের ব্যানার, ফেস্টুন। ডিজিটাল প্রিন্ট প্রযুক্তির আশীর্বাদ হলেও রঙ তুলি দিয়ে লেখা শিল্পীদের জন্য বয়ে এনেছে অভিশাপ।
কয়েক বছর আগেও রঙ তুলি ছিল অনেকের কর্মসংস্থানের মাধ্যম। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে-কার্ড, বিলবোর্ড সবই আঁকতে হতো হাতে রঙ তুলি দিয়ে। কালের পরিক্রমায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাতের লেখা ব্যানার, ফেস্টুন এখন বিলুপ্তির পথে।
ডিজিটাল প্রিন্টের আবির্ভাবে নিরুপায় হয়ে অনেক শিল্পীই করেছেন পেশা বদল। তবুও হাতে গোনা কয়েকজন ধরে রেখেছেন রঙ তুলি। সরকারি সহায়তা পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রঙ তুলির শিল্পীদের।
খোকসা চিত্রলেখা আর্ট গ্যালারির মিঠু চক্রবর্তী জানান, আগে ব্যবসা ভালো চলত। তখন সংসার ছিলো স্বচ্ছল। ডিজিটাল প্রিন্ট আসার পর কাজ নেই। কোনমতে টিকে আছি।
চিত্ররূপ আর্ট গ্যালারির স্বত্ত্বাধিকারী শংকর চক্রবর্তী জানান, ছোট থেকেই রঙ তুলি হাতে নিয়েছি। অন্য কাজ করতে পারি না। আগে ব্যবসা রমরমা চললেও বর্তমানে তেমন কাজ নেই। অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে দিন পার করছি। সরকারি সহায়তার দাবি তার।
মালিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রূপালী ঘোষ বলেন, অতীতের মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও অন্তত টিকে থাকুক অতীত প্রজন্মের এই রঙ তুলির পেশা।
ঈশ্বরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, প্যানাপ্লেক্সের তৈরি সাইনবোর্ড ও ব্যানারে যে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হয় সেগুলো পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও বটে।
খোকসা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, যুবকদের নিয়েই কাজ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। হাতে লেখা চিত্র-চারু শিল্পীদের প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থান ফেরাতে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available