কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: ভোটার আইডি অনুযায়ী বৃদ্ধা কাননবালার বয়স ৬২ বছর, যদিও প্রকৃত বয়স আরও ৬-৭ বছর বেশি। একসময় গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর উপজেলার কোমরপুর গ্রামে বসবাস করতেন তিনি। ২০১৩ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। আশ্রয় নেন ছোট বলিগ্রামের আদর্শ গ্রামে। এখানে তিনি বাঁশ দিয়ে হস্তশিল্প তৈরির কাজ করে কোনমতে দিন পার করছেন। বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতা পাওয়ার আশায় ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে বহুবার গেছেন, কিন্তু প্রতিবারই তাকে শূন্য হাতে ফিরে আসতে হয়েছে।
কীভাবে চলছেন জানতে চাইলে কাননবালা বলেন, ‘অনেক জায়গায় গেছি, অনেকের কাছে বলেছি। কিন্তু কিছুই পাইনি। এই বয়সে এসেও কষ্টের জীবন কাটাতে হচ্ছে। বাঁশ দিয়ে তৈরি হস্তশিল্প বিক্রি করে যা পাই তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনো রকমে চলি। বয়স হয়েছে, এখন বাঁশের জিনিস বানাতে অনেক কষ্ট হয়। দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়, কিন্তু যা পাই, তাতেও সংসার চলে না।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার গোলাম রসূল বলেন, ‘আদর্শ গ্রাম প্রকল্পে অনেক অসহায় মানুষ রয়েছেন, যারা এখনও সরকারি সুবিধা পাননি। কাননবালার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা দ্রুত তার জন্য বিধবা কিংবা বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি।’
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘কাননবালার নাম ভাতার তালিকায় নেই জেনে আমি দুঃখিত। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাঁর নামের প্রস্তাব এলে দ্রুত কাগজপত্র যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিমা আক্তার জাহান বলেন, ‘কাননবালার মতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। বিষয়টি ইতোমধ্যে আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে। তার ভাতার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।’
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available