আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডে ভোটপ্রচারে গিয়ে সীমান্ত সুরক্ষা, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর একের পর এক কড়া মন্তব্যের পর পালটা প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যকরী সভাপতি পালটা প্রশ্ন তুলে বলেন, বাংলাদেশের গদিচ্যুত প্রধানমন্ত্রীকে কেন নিরাপদ আশ্রয় দিল দিল্লি? তবে কি বাংলাদেশের সঙ্গে কেন্দ্রের গোপন চুক্তি আছে?
৩ নভেম্বর রোববার ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া বিধানসভার কেন্দ্রের রাঁকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। তার কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাঁচিতে প্রচার করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ঝাড়খণ্ড সরকারকে কার্যত তুলোধুনো করেছেন। তারই জবাব দিতে গিয়ে পালটা হাসিনার প্রসঙ্গ তুললেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী ১৩ তারিখ ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট। তার আগে প্রচার তুঙ্গে। রোববার গাড়োয়া রাঁকায় প্রচারে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া প্রশ্নবাণ ছুড়লেন হেমন্ত সোরেন। তার বক্তব্য, ‘মোদি তো শপথ নেয়ার সময় সংবিধানের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। তাতে ছিল যে প্রত্যেক জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সব সমস্যা সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এখন আমি তাকে প্রশ্ন করতে চাই, বাংলাদেশের সঙ্গে কি আলাদা করে কোনও চুক্তি আছে? নইলে সেখানকার অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে দেশ ত্যাগী শেখ হাসিনার বিমানকে এখানে নামতে দেয়া হল কেন? কেনই বা দিল্লি তাকে নিরাপদ রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঘেরাটোপে রেখেছে?’
রাঙ্কায় হেমন্ত সোরেন যখন এই বক্তব্য রাখলেন, তার কয়েকঘণ্টা আগে রাঁচিতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের অ-বিজেপি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সুর চড়ান তিনি। বলেন, ‘ঝাড়খণ্ড অনুপ্রবেশকারীতে ভরে যাচ্ছে। এখানে অনুপ্রবেশকারীরা আসছে আর এখানকার মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে তাদের জমিজমা দখল করে নিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদির আমলে ঝাড়খণ্ডের উন্নতি হয়েছে। পাঁচ বছর আগে হেমন্ত সোরেন রাজ্যের দায়িত্ব নিয়ে মোদি সরকারের অনেক প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে।’ তার জবাব দিতে গিয়ে হেমন্ত সোরেন হাতিয়ার করলেন হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার প্রসঙ্গ। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available