আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করছে ভারত। ৪ জানুয়ারি শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল সংযুক্ত করার হুমকি দেয়ার পরই নয়াদিল্লি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার শুরু করেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একজন সিনিয়র উপদেষ্টা হলেন মাহফুজ আলম। গত ১৬ ডিসেম্বর তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামকে নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে ভারত সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়। ভারতের এই তিন রাজ্যে বাংলায় কথা বলা মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বসবাস করে।
ওই পোস্টে মাহফুজ আলম বলেছিলেন, ভারতপন্থি শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশকে সফল হতে হলে ভৌগোলিক সীমানা অবশ্যই বাড়াতে হবে।
মাহফুজ আলমের ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে পর গত ডিসেম্বরের মাঝের দিকে এ বিষয়ে ‘কড়া প্রতিবাদ’ জানিয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। ঢাকার কাছে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে গত ২০ ডিসেম্বর ভারতের পরররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান।
দিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেশী বাংলাদেশের নেতাদের দায়িত্বশীল মন্তব্যের গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সেদিন রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, ‘নয়াদিল্লি সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রকাশ্য মন্তব্য করার সময় দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিতে চায়’।
দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত অতিক্রমকারী নদীগুলোতে নতুন ভাসমান সীমান্ত চৌকি তৈরি করেছে।
বিএসএফের একটি সূত্র বলেছে, ‘পানিপথ সবসময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা সীমান্ত এলাকায় ২৪ ঘণ্টা টহল চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানে অতিরিক্ত ভাসমান ফাঁড়ি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবে। এগুলো সময়ের প্রয়োজন।’
সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। রাজধানীতে বিক্ষুব্ধ জনতার সহিংসতার আশঙ্কায় সামরিক বিমানে করে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available