আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটির আয়োজন পিছিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সব শর্তে রাজি না হওয়া পর্যন্ত এই ভোটাভুটি হবে না। তেল আবিবের অভিযোগ, হামাস শেষ মুহূর্তে চুক্তিতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করতে চাইছে। খবর বিবিসির।
১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু অভিযোগ করে বলেন, হামাস শেষ মুহূর্তে ‘কিছু ছাড় জোর করে আদায়ের চেষ্টা করছে’। তাই হামাস ‘সব শর্তে রাজি না হওয়া’ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে না।
আরও পড়ুন: বাফার জোন থেকে দ্রুত ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান কাতারের
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানি দোহায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলাদাভাবে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেছেন।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১৫ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধ অবসানে মূল মধ্যস্থতাকারী ছিল যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। আগামী ১৯ জানুয়ারি রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে ইসরায়েলের আলোচকেরা দোহায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হলেও তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা ও সরকার অনুমোদন না করা পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর হবে না।
এদিকে নেতানিয়াহুর ঘোষণার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ করা হয়নি এমন একটি অংশ’ যুক্ত করা হয়েছে। তারপরও পরিকল্পনা অনুযায়ী রোববার থেকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available